।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
শীতের এই সময়ে প্রায় সব বয়সের মানুষেরাই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। শীতের প্রভাবে বাদ পড়েনা শিশুরাও। এসময় নানা ধরণের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা।
একইসঙ্গে ঠান্ডা পরিবেশে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া হয়ে ওঠে সক্রিয়। এমনকি বাতাসে ধুলাবালি ও ময়লা বেড়ে যাওয়ায় শীতে অ্যালার্জি বাড়ে। তাই এ সময় সবারই সতর্ক থাকতে হবে।
শীতের সময় বাতাসে অনেক জীবাণু বেশি থাকে। বিশেষ করে ভাইরাস বেশি থাকে যা শ্বাস নালীর মাধ্যমে দেহে প্রবেশ করে ইনফ্লুয়েঞ্জা ও মামসের মতো রোগের সৃষ্টি করে।
অনেক সময় দেখা যায় যে, বাড়ির বড় কারো ঠাণ্ডা লাগলে তারা শিশুদের সামনে হাঁচি বা কাশি দেয়। একটা বড় মানুষের হাঁচিতে লক্ষ লক্ষ জীবাণু থাকে। যা বাচ্চাদের শ্বাসের মাধ্যমে ঢুকে তাদেরকে আক্রান্ত করে ফেলে । তাই কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখলে শিশুদের রাখাবে সর্দি-কাশিমুক্ত।
১। সব সময় শিশুর হাত পরিষ্কার রাখুন। কারণ শিশুরা কিছুক্ষণ পরপরই মুখে হাত দেয়। তাই আপনাকে অবশ্যই শিশুর হাত পরিষ্কার রাখুন তাহলেই জীবাণুর হাত থেকে মিলবে মুক্তি। আর সন্তান একটু বড় হলে তাকে হাত ধোয়ানোর অভ্যাস করুন।
২। শিশুর খেলনা পরিষ্কার রাখতে হবে। কারণ খেলনা যেখানে সেখানে পড়ে থাকায় মিশতে পারে জীবাণু। তাই খেলনা গরম পানিতে মাঝেমধ্যেই পরিষ্কার করুন। তবেই খেলনার উপর থেকে সরানো যাবে জীবাণু।
৩। আপনি যখন সন্তানকে কোলে নেবেন তার আগে অবশ্যই হাত ধুয়ে নিন। না হলে আপনার হাতে জীবাণু থাকলে তা শিশুর কাছেও পৌঁছে যাবে। তাই নিজের হাত ভালো করে সাবান দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার রাখুন সব সময়।
৪। অসুস্থ মানুষের কাছ থেকে শিশুকে দূরে রাখুন। বিশেষ করে বাড়িতে কারও ঠান্ডা লাগলে শিশুকে তার সামনে নিয়ে যাবেন না। তাকেও বাচ্চার সামনে আসতে বারণ করুন।
৫। শিশুকে সময় মতো টিকা দিন। টিকা তাদের মধ্যে নির্দিষ্ট অসুখের বিরুদ্ধে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে।
৬। কোনো শিশুর ঠান্ডা লাগলে কিংবা নাক দিয়ে পানি পড়লে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কারণ মনে রাখবেন এখন করোনার প্রকোপ আবারও বাড়ছে। তাই প্রথম থেকেই সতর্ক থাকা জরুরি।