।। নিউজ ডেস্ক ।।
উলিপুরে বাড়ি চুরির ২৫ দিন পর পুলিশ দীর্ঘ অভিযান শেষে আন্তঃজেলা চোর দলের সর্দারসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। থানার অফিসার ইনচার্জ ইমতিয়াজ কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এসময় তাদের কাছ থেকে চুরি হওয়া স্বর্ণ, নগদ টাকা ও চুরির কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্রসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ নভেম্বর রাত আনুমানিক গভীর উপজেলার পান্ডুল ইউনিয়নের খামার ঢেঁকিয়ারামের মৃত মোহাম্মদ আলী স্ত্রী নারজু বেগমের বাড়ীতে সঙ্গোপনে জানালার গ্রীল ভেঙ্গে শয়ন ঘরের থাকা আলমারী ও ওয়ারড্রোব হতে স্বর্ণের নেকলেস, বালা, দুল, আংটি, লকেট, নাকফুলসহ সাড়ে চার ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার এবং নগদ ২৫ হাজার টাকা সহ একটি স্যামসাং মোবাইল ফোন চুরি করে নিয়ে যায়। এর প্রেক্ষিতে নারজু বেগম বাদী হয়ে গত ১৪ নভেম্বর থানায় অজ্ঞাতনামা চোরদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। এর প্রেক্ষিতে থানা পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থলে চোরেরা একটি মাঙ্কী টুপি ফেলে যায়। সেই মাঙ্কী টুপির সূত্র ধরে এবং প্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত রুহুল আমিনের নেতৃত্বে একটি টিম রংপুরের কোতয়ালী থানার হরিদেবপুর ইউনিয়নের রতিরামপুর গ্রাম হতে মোক্তার হোসেনের পুত্র আন্তঃজেলা চোর দলের মূল হোতা ১ নং আসামী লালচান ওরফে আব্দুস ছালাম (৫৮) কে ওই এলাকার শিবের বাজার, রংপুরের কোতয়ালী থানা থেকে গ্রেফতার করা হয়। ওই আসামীর বিরুদ্ধে রংপুর কোতয়ালী থানায় ৩টি ডাকাতির মামলা রয়েছে।
এরপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আন্তঃজেলা চোর দলের সর্দার আসামী শহিদার রহমানেরর পুত্র আব্দুস ছালাম ওরফে ছালাম মুন্সি (৫৫) রংপুরের কোতয়ালী রতিরামপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়। ছালাম মুন্সির বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ২ টি ডাকাতি এবং ১টি মানবপাচার মামলা রয়েছে। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী আসামী উপজেলার পান্ডুল ইউনিয়নের ঢেঁকিয়ারাম গ্রামের লিটন মিয়া (৩৮) ও রংপুর কোতয়ালী থানার পানবাজারের জুয়েলার্স ব্যবসায়ী রনজিৎ বানিয়া (৪৫)কে আটক করা হয়।
এসময় তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া স্বর্ণ ২.১ ভরি ও স্বর্ণ বিক্রির ৭০ হাজার টাকা ও চুরির কাজে ব্যবহৃত সাবল, প্লাস ও একটি ধারালো ছোরা উদ্ধার করা হয়।
থানার অফিসার ইনচার্জ ইমতিয়াজ কবির বলেন, আন্তঃজেলা চোর চক্রটি রংপুরের বিভিন্ন উপজেলায় তাদের সোর্সের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে চুরি সংঘটিত করে আসছিল। আমরা মাঙ্কি টুপি ও প্রযুক্তির সহায়তায় তাদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। মঙ্গলবার (০৭ ডিসেম্বর) আটককৃতদের কুড়িগ্রাম জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়।
//নিউজ/উলিপুর//মালেক/ডিসেম্বর/০৮/২১