।। জেলা প্রতিনিধি ।।
চিলমারীতে গত ১ বছরে উপজেলার এক মাদ্রাসার ৭৫ জন শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন এলাকায় বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে সাতশ’র বেশি শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে ১২ থেকে ১৬ বছরের মেয়ে শিশুদের বাল্যবিয়ের প্রবণতা বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত এক বছরে প্রচুর শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়ার পাশাপাশি প্রায় সাতশ’র বেশি শিক্ষার্থী বাল্য বিয়ের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে শুধু রমনা মডেল ইউনিয়নের পাত্রখাতা রিয়াজুল জান্নাহ্ দাখিল মাদ্রাসাতেই প্রায় ৭৫ জন শিক্ষার্থী বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে।
প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, থানাহাট ইউনিয়নে প্রায় দেড় শতাধিক, রমনা মডেল ইউনিয়নের প্রায় দুই শতাধিক, রানীগঞ্জ ইউনিয়নে প্রায় দুই শতাধিক, চিলমারী ইউনিয়নে প্রায় অর্ধশতাধিক, নয়ারহাট ইউনিয়ন ও অষ্টমীর চর ইউনিয়নে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে।
এছাড়াও অভিযোগ উঠেছে, রেজিস্ট্রাররা নিয়ম ভঙ্গ করে বিয়ে রেজিস্ট্রি করলেও তার কোন কপি প্রদান করেন না এবং কোনো সমস্যা সৃষ্টি হলে তা অস্বীকার করেন। রানীগঞ্জ ও চিলমারী ইউনিয়নের একাধিক বাসিন্দারা বলেন, কাজের কাজ না করেই স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় আরডিআরএস বাংলাদেশের বিবিএফজি প্রকল্পের নামে একটি এনজিও নিজেদের সুবিধা হাসিল করতে তাদের উদ্যোগে কয়েকটি এলাকাকে ঘোষণা করেছে বাল্যবিয়ে মুক্ত ইউনিয়ন হিসেবে।
তারা আরও জানান, যেখানে এখনো বাল্যবিয়ে বন্ধ হয়নি, সেখানে বাল্যবিয়ে মুক্ত ঘোষণার বিষয়টি তাদের ভাবিয়ে তুলছে। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ জানান, হঠাৎ বাল্যবিয়ের প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর হার কমেছে।
এদিকে বিবিএফজি প্রকল্পের উপজেলা সমন্বয়কারীর দায়িত্বে থাকা মোছা. ফারজানা ফৌজিয়া বলেন, আমরা বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে সভা-সেমিনার করে যাচ্ছি। আপাতত দুটি ইউনিয়নকে প্রাথমিকভাবে বাল্যবিয়ে মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি বাল্যবিয়ে মুক্ত করাসহ মেয়েদের শিক্ষিত করে তুলতে।
//নিউজ/কুড়িগ্রাম//সুভাষ/নভেম্বর/২৭/২১