।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
মানব দেহের কিডনি শরীর থেকে অনাবশ্যক দ্রব্য বা পদার্থ মূত্র হিসাবে শরীর থেকে বের করে রক্ত পরিশোধন করে এবং শরীরে ক্ষার এবং অম্লের ভারসাম্য বজায় রাখে। গুরুত্বপূর্ণ এই অঙ্গের রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এর মধ্যে বড় একটি রোগ হলো কিডনিতে পাথর।
কিডনি স্টোনের প্রাথমিক লক্ষণগুলো নির্ভর করে পাথর কিডনির কোথায় এবং কীভাবে রয়েছে। কিডনিতে পাথরের আকার-আকৃতিও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পাথর খুব ছোট হলে সেটি কোনও ব্যথা-বেদনা ছাড়াই দীর্ঘদিন পর্যন্ত শরীরে থাকতে পারে! ফলে টেরও পাওয়া যায় না। কিডনিতে পাথর জমার বা তৈরি হওয়ার প্রকৃত কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে কিছু কিছু বিষয় কিডনিতে পাথর তৈরির কারণ বলে বিবেচিত হয়।
তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক, যেমনঃ-
১. শরীরে পানির স্বল্পতা। কম পানি খাওয়া।
২. কিডনিতে ইনফেকশন হলেও যথাযথ চিকিত্সার ব্যবস্থা না করা।
৩. অত্যাধিক পরিমাণে দুধ, পনির বা দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ার অভ্যাস।
৪. শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রাতিরিক্ত আধিক্য।
কিডনিতে পাথর হওয়ার উপসর্গ:
১. রক্তবর্ণের প্রস্রাব।
২. বমি বমি ভাব। অনেক সময় বমিও হতে পারে।
৩. কোমরের পিছন দিকে ব্যথা হওয়া। এই ব্যথা তীব্র তবে সাধারণত খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না। ব্যথা কিডনির অবস্থান থেকে তলপেটেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিডনিতে পাথর জমার প্রধান কারণ হচ্ছে পানি কম পান করা। সেই সঙ্গে নিয়মিত মদ্যপান, জীবনযাত্রায় অনিয়মের প্রবণতা পুরুষদের মধ্যে নারীদের তুলনায় বেশি। এসকল কারণেই তাদের এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
চিকিৎসা
কিডনির অবস্থানে ব্যথা এবং রক্তবর্ণের প্রস্রাব হলে চিকিৎসকরা সাধারণত দুটি চিন্তা করেন। একটি হলো- কিডনির ইনফেকশন, অন্যটি কিডনিতে পাথর। তাই কিডনির এক্সরে, আলট্রাসনোগ্রাম এবং প্রস্রাবের নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়। কখনও পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি আর যথাযথ ওষুধ খেলেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে অস্ত্রোপচারই একমাত্র উপায়।
সতর্কতা:
কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি এড়াতে হলে অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। কখনও প্রস্রাব আটকে বা চেপে রাখবেন না! প্রস্রাবের বেগ এলে চেষ্টা করবেন সঙ্গে সঙ্গে তা সেরে ফেলার।
প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খান। দুধ, পনির বা দুগ্ধজাত খাবার অতিরিক্ত মাত্রায় না খাওয়াই ভাল। বারবার ইউরিন ইনফেকশন দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।