।। নিউজ ডেস্ক ।।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সরকারি সিদ্ধান্ত থাকলেও তা মানা হয়নি উলিপুরের বিভিন্ন সরকারি, বে-সরকারিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বললে তারা সদুত্তর দিতে পারেনি। তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, যারা যারা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে নাই, সরকারি নির্দেশনা ছিল এই ভুলটা কেন করলেন এ বিষয়ে তাদের কাছে জবাব চাওয়া হবে ।
বুধবার (অক্টোবর ২০) সরেজমিনে সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়, উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়, উপজেলা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) কার্যালয়, উলিপুর সরকারি কলেজ, উলিপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়, গুনাইগাছ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়সহ উপজেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, ব্যাংক, এনজিও, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ওড়েনি জাতীয় পতাকা। অথচ ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী দিবসের বিধি অনুযায়ী সকল সরকারি, আধা সরকারি স্বায়ত্বশাসিত ভবন, বেসরকারি ভবন ও সশস্ত্র বাহিনীর সকল সদর দপ্তর/ইউনিট/ঘাটি জাহাজসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার কথা বলা হয়েছে। এছাড়াও বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সিটিকর্পোরেশন, পৌরসভা, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ নিজ নিজ অধিক্ষেত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উদযাপনের জাতীয় কর্মসূচির আলোকে সেমিনার, আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিলের আয়োজন করার কথা বলা আছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার নাদিরউজ্জামান বলেন, ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে জাতীয় পতাকা উত্তোলন সরকারি নির্দেশনা ছিল অফিস থেকে প্রত্যকটি প্রতিষ্ঠান প্রধানকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিমক শিক্ষা অফিসার শাহ মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, স্কুল-কলেজ ও মাদরাসায় সরকারি নির্দেশনা মতে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের কথা বলা আছে। দুই একজন প্রধান শিক্ষক আমাকে ফোন দিয়েছিল তাদেরকে বলে দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিশ্ব নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জন্ম ও ওফাত দিবস ১২ রবিউল আওয়ালকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দিয়ে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এতে বলা আছে,পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী দিবসে বাংলাদেশের সব সরকারি ও বেসরকারি ভবন ও অফিস প্রঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। এছাড়াও বিদেশি কূটনৈতিক মিশন ও দূতাবাসগুলোতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
//নিউজ/উলিপুর//মালেক/অক্টোবর/২১/২১