।। জেলা প্রতিনিধি ।।
ফুলবাড়ীতে চন্দ্রখানা বালাটারী আবাসন নির্মাণের দেড় যুগ পেরিয়ে গেলেও আবাসনবাসীসহ আশপাশের ৩ টি গ্রামের ১০ হাজারেরও বেশি মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটিতে নির্মাণ হয়নি ব্রিজ। নড়বড়ে ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সাঁকো দিয়ে পারাপার হচ্ছে মানুষ, ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। তাই দ্রুত ব্রিজ নির্মাণের দাবি আবাসন ও এলাকাবাসীর।
জানা গেছে, উপজেলা সদর থেকে মাত্র ১ কিলোমিটার দূরে ফুলসাগর লেকের দক্ষিণ পাড় ঘেঁষেই দেড় যুগ আগে গরীব অসহায় মানুষের জন্য চন্দ্রখানা বালাটারী আবাসন নির্মাণ হলেও চলাচলের জন্য নির্মাণ হয়নি একটি ব্রিজ। আবাসনের ১৮০ ঘর বাসিন্দাসহ আশপাশের ৩ টি গ্রামের ১০ হাজারেরও বেশি মানুষের পারাপারের জন্য পাকা সংযোগ সড়ক থেকে নালার উপর ৬০ মিটার দৈঘের্যর জরাজীর্ণ কাঠের সাঁকোটির বিভিন্ন অংশ ভেঙে গেলেও ঝুঁকি নিয়ে নড়বড়ে সাঁকো দিয়েই পারাপার হচ্ছে নারী, শিশু বৃদ্ধসহ অনেকেই। প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। দৈনন্দিন জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে এ অঞ্চলের মানুষের কাছে গুরত্বপূর্ণ হওয়ায় কাঠের সাঁকোর পরিবর্তে একটি পাকা ব্রিজ নির্মাণের দাবি আবাসনবাসী ও এলাকাবাসী।
আবাসনবাসী খবির উদ্দিন, জোসনা বেগম ও বীরমুক্তিযোদ্ধা জহির আলী জানান, আবাসন নির্মাণের প্রায় দেড় যুগ পার হয়ে গেলেও আবাসনবাসীসহ তিন গ্রামের ১০ হাজারের বেশী মানুষ চলাচলের একমাত্র রাস্তাটিতে আজ পর্যন্ত একটি ব্রিজ নির্মাণ হয়নি, একটি কাঠের সাঁকো আছে যা দিয়ে আমরা যাতায়াত করি সেটি প্রায় ভেঙে পড়ে, এখান দিয়ে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা স্কুলে যাওয়ার প্রায় সময় দুর্ঘটনার শিকার হয়, আমরা নিজেরাও শিকার হই। সরকারের কাছে আকুল আবেদন আমাদের এখানে একটি ব্রিজ দেয়ার।
ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ হারুন জানান, চন্দ্রখানা বালাটারী আবাসনবাসীসহ ওই এলাকার মানুষের চলাচলের দুর্ভোগ কমাতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একটি ব্রিজ নির্মাণের আবেদন করেছি, এছাড়া মাননীয় সংসদ সদস্যের কাছে আমি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য।
//নিউজ/কুড়িগ্রাম//সুভাষ/অক্টোবর/০৫/২১