।। নিউজ ডেস্ক ।।
আগামী মঙ্গলবার (১২ই অক্টোবর) থেকে শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। মহামারী করোনার কারণে গতবছরের মতো এ বছরেও দুর্গাপূজার আনন্দ অনেকটা ম্লান না হলেও, কঠোরভাবে মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি।
বাইরে থেকে আসা ভক্ত ও দর্শনার্থীদের সমাগম করতে হবে সীমিত। রাখতে হবে প্রতিটি মন্ডপের সামনে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা, পর্যাপ্ত মাস্ক, স্যানিটাইজারসহ করতে হবে মন্ডপকে জীবানু নাশক স্প্রে। সেই সাথে মন্ডপে পুরুষ ও নারী দর্শনার্থীদের জন্য রাখতে হবে পৃথক প্রবেশ ও বাহির হওয়ার ব্যবস্থা।
মন্ডপের পুরোহিত, আয়োজক কমিটিসহ সংশ্লিষ্টদের সবাইকে মানতে হবে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি। পাশাপাশি সূর্যাস্তের আগেই প্রতিমা বির্সজনের বিষয়েও বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়। রবিবার (০৩ই অক্টোবর) কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন শারদীয় দূর্গোৎসব উপলক্ষে এক মতবিনিময় সভায় এসব জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক উত্তম কুমার রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রুহুল আমিন, সিভিল সার্জন ডাঃ হাবিবুর রহমান, সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা নুরে তাসনিম, পৌর মেয়র কাজিউল ইসলাম, পুজা উদযাপন পরিষদের কুড়িগ্রাম শাখার সভাপতি রবি বোস, উলিপুর শাখার সভাপতি সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে, হিন্দু, বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের জেলা সভাপতি ছানালাল বকসী, সাধারণ সম্পাদক অলক সরকারসহ বিভিন্ন উপজেলার পুজো কমিটির নের্তৃবৃন্দ। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত সকলে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে একমত হন।
কুড়িগ্রাম জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রবি বোস বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের কারণে গতবছর স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজা করতে হয়েছিলো। এ বছরেও কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুজো অনুষ্ঠিত হবে, তবে গতবছরের চেয়ে এ বছরে ভক্তরা সীমিত পরিসরে পুজোর আনুষ্ঠানিকতা আর আনন্দ উৎসব করতে পারবে।’
কুড়িগ্রাম জেলায় এবার মোট পূজো হতে যাচ্ছে ৫৫৪ টি মন্ডপে। ৫৫৪ টি পুজো মন্ডপগুলো হলো, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় ৮৭ টি, কুড়িগ্রাম পৌরসভার ভিতরে ২১ টি, নাগেশ্বরী উপজেলায় ৯০ টি, ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় ২০ টি, ফুলবাড়ি উপজেলায় ৬৯ টি, রাজারহাট উপজেলায় ১২৮ টি, উলিপুর উপজেলায় ১১৯ টি, চিলমারী উপজেলায় ৩২ টি, রৌমারী উপজেলায় ৭ টি এবং রাজিবপুর উপজেলায় ১টি পুজো অনুষ্ঠিত হবে। গতবছরের থেকে কুড়িগ্রামে এ বছর ৪৬ টি পুজো বেশি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রুহুল আমিন বলেন, “করোনার এই সময় পুজো যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে সে বিষয়ে আমরা সার্বক্ষনিক নজরদারি রাখবো। এছাড়াও প্রতিবছরের মতো পূজা মণ্ডপগুলোতে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনাসহ কঠোর নিরাপত্তা থাকবে। কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটতে দেয়া হবে না এবং গতবছরের মতো এ বছর কোন আনসার সদস্য থাকবে না মন্ডপগুলোতে। তবে ঝুকিপূর্ন কোন মন্ডপ চাইলে আনসার, পুলিশ সদস্য আবেদনের প্রেক্ষিতে রাখতে পারবে।’
সূত্রঃ বার্তা বাজার