।। নিউজ ডেস্ক ।।
দীর্ঘ ১৯ মাস ধরে চিলমারী-রংপুর-পার্বতীপুর রেলপথে ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ, চালক ও ইঞ্জিন স্বল্পতা এবং স্টেশনমাস্টার না থাকার অজুহাতে দীর্ঘদিন এই রুটে ট্রেন চলাচল করছে না।
ফলে স্বল্প ভাড়ায় এবং সহজে রেলপথে চিলমারীর রমনা থেকে রংপুর হয়ে পার্বতীপুর ও পার্বতীপর থেকে রমনা স্টেশন যাতায়াতের সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন ৯ উপজেলার সাধারণ যাত্রীরা।
এ ছাড়া ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় ওই এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সেই সঙ্গে বেকার হয়ে পড়েছে রেলওয়ে স্টেশনকে ঘিরে খেটে খাওয়া মানুষ।
জানা গেছে, গত বছরের ৮ মার্চ দুপুরে চিলমারীর রমনা থেকে পার্বতীপরগামী একটি ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার পর আর ফিরে আসেনি। এর পর থেকে বন্ধ রয়েছে ট্রেন যোগাযোগ। কবে থেকে আবার নিয়মিতভাবে এই রুটে ট্রেন যোগাযোগ চালু করা হবে, সে বিষয়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কেউই স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারছেন না।
সূত্রমতে, ১৯২৮ সালের ২ আগস্ট বন্দরনগরী চিলমারী থেকে প্রথম রেলপথে রেল যোগাযোগ চালু হয়। তিস্তা থেকে কুড়িগ্রাম হয়ে চিলমারীর রমনা স্টেশন পর্যন্ত ৫৭ কিলোমিটার রেলপথের মধ্যে ৪৩ কিলোমিটার রেলপথ পড়ে কুড়িগ্রাম জেলার ভেতরে।
সেই সময় যাত্রীদের সুবিধার্থে এই ৪৩ কিলোমিটার রেলপথে স্থাপন করা হয় আটটি স্টেশন। কুড়িগ্রাম রেলপথ চালুর পর পার্বতীপুর-রমনা রেলপথে সকাল-সন্ধ্যায় দুটি ও লালমনিরহাট-রমনা পথে দুপুরে ও রাতে দুটিসহ মোট চারটি ট্রেন চালু ছিল।
২০০২ সালের দিকে হঠাৎ করে পার্বতীপুর-রমনা রুটে একটি ও লালমনিরহাট-রমনা রেলপথের দুটি ট্রেনসহ মোট তিনটি ট্রেন বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
এর পর থেকে একটি ট্রেন পার্বতীপুর-রমনা রুটে সকালে রমনা এসে তিস্তা গিয়ে ফের দুপুরের ট্রেন হয়ে চলাচল করছিল।
২০২০ সালের ৮ মার্চ ট্রেনটি রমনা থেকে ছেড়ে যাওয়ার পর প্রায় ১৯ মাস ধরে আর তা চিলমারীতে আসছে না।
বন্দরনগরীর ব্যবসায়ী আবু তারেক, বিপ্লব, জুয়েল, মজিবর মিয়াসহ আরও অনেকেই বলেন, কম খরচে নিরাপদে বিভিন্ন মালামাল ট্রেনে পরিবহণ করতে পারতাম। কিন্তু ট্রেন বন্ধ থাকার কারণে বাস, ট্রাক, পিকআপভ্যান ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা দিয়ে বেশি টাকা ব্যয় করে মালামাল পরিবহণ করতে হচ্ছে। ফলে আমরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিরক্ত হয়ে বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক নুর মোহাম্মদ বলেন, এসব নিয়ে কথা বলতে ভালো লাগে না। আমাদের যা রিসর্ট আছে, তাতে এ মুহূর্তে ট্রেন চালানোর কোনো সম্ভাবনা নেই।
সূত্রঃ যুগান্তর