।। জেলা প্রতিনিধি ।।
কুড়িগ্রামে উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে নদ-নদীর পানি আবারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে জেলার নদী অববাহিকায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। এসব নীচু এলাকার প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ পানি বন্দী রয়েছে। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, সোমবার (৩০আগষ্ট) সকালে ধরলার পানি ব্রীজ পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৪ ও ব্রক্ষপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ২৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
এছাড়া তিস্তা দুধকুমোর সহ জেলার সব কটি নদীর পানি আজ বিপদসীমা ছুঁই ছুুঁই করছে।
নীচু চরের পাানি বন্দী মানুষ অনেকেই উঁচু স্থানে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে। এসব এলাকার কাচা রাস্তা ঘাট পানির নীচে তলিয়ে থাকায় আভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যাবস্থায় নাজুক অবস্থা বিরাজ করছে।
ইতিমধ্যে জেলার প্রায় ১৫ হাজার হেক্টর জমির আমন ক্ষেত, ২৭০ হেক্টর সবজী ও ৯৫ হেক্টর জমির বীজ তলা পানিতে তলিয়ে গেছে। ঝুঁকির মুখে রয়েছে সদর উপজেলার হোলখানার সারডোব কালুয়ারচর সহ বেশ কয়েকটি এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ। ধরলানদীর পানি বাঁধের ভাঙ্গা অংশ দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করায় বেশ কিছু আমন ক্ষেত বাঁধের ভেতর জলমগ্ন হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম জেলা ত্রান ও পূনবার্সন কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, বন্যার্তদের জন্য ১২ লক্ষ টাকা ২শ ৮০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় ধরলা নদীর পানি ২৬.৮৪ সে.মি, ব্রক্ষপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে ২৩.৯৩ সে.মি, তিস্তা নদীর পানি ২৯.০৫ সেন্টিমিটার, ব্রম্মপুত্র নদের নুুনখাওয়া পয়েন্টে ২৬.১৫ সে.মি দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
//নিউজ/কুড়িগ্রাম//সুভাষ/আগস্ট/৩১/২১