।। নিউজ ডেস্ক ।।
হালকা ও মাঝারী বৃষ্টিপাতের কারণে ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে।
তিস্তা নদীর পানির বৃদ্ধি পেয়ে তীব্র স্রোতে ব্যাপক নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহে ব্যবধানে উপজেলার বজরা ও থেতরাই ইউনিয়নে বিভিন্ন এলাকায় কয়েক শত বসতভিটা, মসজিদ, পাকাঁ রাস্তাসহ কয়েক’শ একর ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। এমন ভাঙন অব্যাহত থাকলে দুই একদিনের মধ্যে বজরা ইউনিয়নে অবস্থিত বগুলাকুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ভেঙে যাবে বলে শঙ্কিত এলাকাবাসী। এছাড়াও সাদুয়া দামারহাট, সতালস্কর এলাকার ফসলি জমিসহ মুচিরবাঁধ থেকে পশ্চিম বজরা পর্যন্ত নতুন করে তৈরি করা বাঁধের রাস্তাটি নদী ভাঙনের হুমকির কবলে।
স্থানীয়রা জানায়, ইতি পূর্বে বগুলাকুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ৩ বার তিস্তা নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। বর্তমানে নদী ভাঙনের ফলে বিদ্যালয়টি মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে। বিদ্যালয়টি নদী গর্ভে চলে গেলে এই এলাকার শিশুদের পড়ালেখার মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি হবে। তাই বিদ্যালয়টি সহ সদ্য নির্মিত বাঁধের রাস্তাটি নদী ভাঙনের কবল থেকে রক্ষার দাবিতে বিদ্যালয়টিতে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ এলাকার শত শত নারী-পুরুষ অতিদ্রুত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবী জানান।
অপরদিকে, তিস্তা নদী বেষ্টিত উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নে নদী ভাঙন দেখা দিলে মন্ডল পাড়া, ঘোষপাড়ার মানুষ সেচ্ছাশ্রমে শিশু, নারী-পুরুষ, বৃদ্ধ, বণিতা বাঁশ, রশি, জিআই তার, লোহার পেরেক ও প্লাস্টিকের বন্তা দিয়ে ৫ টি বান্ডাল তৈরি করে স্রোতের দিক পরিবর্তন করার চেষ্টা করলেও তা কয়েক দিনের মধ্যে তিস্তার তীব্র স্রোতে ভেসে যায়। ফলে ওই এলাকাসহ ঝাকুয়া পাড়া, মূলা ধোয়ার পাড় ও গোড়াইপিয়ার এলাকার ভাঙনের হুমকির মুখে রয়েছে গোড়াইপিয়ার পিয়ারি দাখিল মাদরাসা, গোড়াইপিয়ার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোড়াইপিয়ার জামে মসজিদ, গোড়াইপিয়ার কমিউনিটি ক্লিনিকসহ আরো নানান স্থাপনা।
তিস্তা নদী রক্ষা কমিটির কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম সরদার বলেন, কিভাবে প্রতিষ্ঠানগুলো ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা করা যায় এবং এলাকাগুলো ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসার অনুরোধ করেন।
রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, চলতি মাস (আগস্ট)পর্যন্ত হালকা ও মাঝারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে। উজানের ঢল ও বৃষ্টিপাতের কারণে এ অঞ্চলে স্বল্প মেয়াদী বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
//নিউজ/উলিপুর//মালেক/আগস্ট/২৭/২১