।। জেলা প্রতিনিধি ।।
গত দুই দিনের ভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢলে ধরলা নদীর পানি আবারও বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে, ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, দুধকুমারসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও তা এখনো বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ অবস্থায় জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত ধরলাসহ সব নদ-নদী অববাহিকার নিম্নাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে ধরলা নদীর তীরবর্তী নীচু এলাকার বিপুল পরিমান জমির রোপা আমন, পটলসহ বিভিন্ন প্রজাতির সবজি ক্ষেত পানির নীচে তলিয়ে গেছে।
অন্যদিকে, নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে কুড়িগ্রামের উপর দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করেছে। বিশেষ করে খরস্রোতা তিস্তা নদীর ১৭ টি পয়েন্ট ভাঙ্গন এতটাই তীব্র যে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় ৬০টি বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এসব পরিবারের পাশে কেউ দ্বারায়নি অভিযোগ করেন তারা। সাম্প্রতিক সময়ে থেতরাই ইউপি’র ভাঙ্গন কবলিত গোড়াইপিয়ার এলাকায় ভাঙ্গনরোধে জরুরী মেরামত কাজে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ করে বলেন জিও টেক্সটাইল ব্যাগে সঠিক পরিমাণে বালুভর্তি করে পরিকল্পিতভাবে ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় বস্তা নিক্ষেপ করলে আজ তার বাড়িসহ দক্ষিণ অংশের এতগুলো বসতবাড়ী নদীর গর্ভে যেতো না।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, ভারী বৃষ্টি ও উজানের পানিতে দ্বিতীয় দফায় নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে এই মুহুর্তে বড় ধরনের বন্যার কোন আশংকা নেই বলে ঐ প্রকৌশলী দাবী করেন।
//নিউজ/কুড়িগ্রাম//সুভাষ/আগস্ট/২৭/২১