।। নিউজ ডেস্ক ।।
উলিপুর গুনাইগাছ ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনস্থা এনেছেন ৮ ইউপি সদস্য। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন। প্যানেল চেয়ারম্যানের বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ইউপি সদস্যগণ।
জানা গেছে, গত ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ভিজিএফ এর অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ খোকাকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়। গত ৮ আগস্ট স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. আবু জাফর রিপন স্বাক্ষরিত পত্রে ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
পরে গত ১৭ আগস্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ-জান্নাত রুমি স্বাক্ষরিত ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩৩(৫) ধারার বিধান অনুযায়ী ইউপি সদস্য জলিল সরকারকে ১নং ও ২ নং আব্দুস ছাত্তার এবং শ্রীমতি সীমা রাণীকে ৩নং প্যানেল চেয়ারম্যান গঠন করে দেন। প্যানেল চেয়ারম্যান ঘোষণার পর পরই ইউপি সদস্যদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। গঠিত প্যানেল চেয়ারম্যানের বৈধতা নিয়েও আপত্তি তোলেন তারা। পরে ওই প্যানেলের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে, গত ১৯ আগস্ট ইউপি সদস্য আছমা বেগম, আব্দুস ছাত্তার, মনিরুজ্জামান মনজু, মতিয়ার রহমান, রফিকুল ইসলাম,আব্দুল জলিল, গোলাম হোসেন, আহাদ মিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন, গঠিত প্যানেল চেয়ারম্যান দ্বাড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কার্যক্রম সুষ্ঠ ভাবে পরিচালনা হবে না। স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক অনুমোদিত গত ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ সালের ইউনিয়ন পরিষদের গঠিত প্যানেল কমিটি দ্বাড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার জোর দাবি জানান তারা।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ-জান্নাত রুমি অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, অভিযোগ হাতে পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
//নিউজ/উলিপুর//মালেক/আগস্ট/২১/২১