।। নিউজ ডেস্ক ।।
উলিপুরে জ্বরের প্রকোপ বেড়েই চলছে। সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধের দাম। উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে প্যারাসিটামলের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এ সুযোগে কিছু অসাদু ব্যবসায়ী চড়া দামে ওষুধ বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। তবে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানি প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে প্যারাসিটামলের দাম বাড়ার কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি জানান, বর্তমানে প্যারাসিটামলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হওয়ায় এই সুযোগটি কাজে লাগাচ্ছে তারা। ফলে যে যার মত প্যারাসিটামল বিক্রি করছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন জ্বর, সর্দি, হাচি-কাশি,শরীর ব্যাথা নিয়ে ৩০০-৩৫০ জন রোগি হাসপাতালের আউটডোরে চিকিৎসা নিচ্ছে। দিন দিন জ্বরে আক্রান্ত রোগির সংখ্যা বেড়েই চলছে। জ্বরে আক্রান্ত রোগিকে সামাল দিতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। এসব রোগিদের পারাসিটামল জাতীয় ওষুধ সেবনের পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। ফলে করোনা আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি করে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ কিনে ঘরে রাখছেন মানুষজন। এ কারণে প্যারাসিটামল ওষুধের সংকট দেখা দিতে পারে বলেও মনে করছেন অনেকে। ।
ওষুধ ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম, হাবিব মিয়া, আকিলুর ইসলাম, মনোয়ারুল ইসলাম,হাফিজুর রহমানসহ বেশ কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা বলেন, প্রতিটা বাড়িতে জ্বরের রোগি রয়েছে। এজন্য প্যারাসিটামলের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। কিন্তু কোম্পানি লোকজন চাহিদা অনুযায়ী ওষুধ সরবরাহ করতে ব্যর্থ।
ওষুধ ব্যবসায়ীদের একটি সূত্র জানায়, আগে প্রতি পিস নাপা এক্সট্রা আড়াই টাকা,এইস প্লাস আড়াই টাকা,নাপা ৭০ পয়সা,নাপা এক্সেট্রেন দেড় টাকা, ফাস্ট প্লাস দুই টাকা, ফাস্ট এক্সার দেড় টাকা,রিনেট প্লাস দেড় টাকা এইস এক্সার দেড় টাকা ছিল। কিন্তু হঠাৎ জ্বরের প্রকোপ দেখা দেয়ায় প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধের তীব্র সংকট দেখা দেয়ায় খুচরা ও পাইকারী ব্যবসায়ীরা প্রতিটি ওষুধের মূল্য ১ থেকে ৩ টাকা বেশি দামে বিক্রি করে আসছেন। এছাড়াও কিছু অসাদু ব্যাবসায়ী কৃতিম সংকট তৈরি করে সাধারণ জগনের পকেট কাটছেন। এতে করে প্রতারিত হচ্ছেন মানুষজন।
উপজেলায় ওষুধ কোম্পানিদের সংগঠন ‘ফারিয়া’র সভাপতি মাসুদুর রহমান মিঠু বলেন, প্রতিটি কোম্পানির একটি নিদিষ্ট পরিমাণ ওষুধ উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা থাকে। কিন্ত এবছর হঠাৎ জ্বরের প্রকোপ দেখা দেয়ায় প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধের চাহিদা বেড়ে গেছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ একেবারেই অপ্রতুল। তবে কোন কম্পানি ওষুধের দাম বাড়ায়নি।
এ বিষয়ে উলিপুর ওষুধ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বাদশা আলমগীর বলেন, আমার জানা মতে কেউ বেশি দামে ওষুধ বিক্রি করছেনা। আর যদি এরকম কেউ করেও থাকে তাহলে সেটা মোটেও ঠিক না। যেহেতু আপনি বললেন,বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।
//নিউজ/উলিপুর//মালেক/আগস্ট/০৭/২১