।। নিউজ ডেস্ক ।।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে চলমান কঠোর বিধি নিষেধের মধ্যে রবিবার (১ আগস্ট) থেকে রপ্তানিমুখী শিল্প-কারখানা খুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার।
এ খবর শোনামাত্র গনপরিবহন গুলো বন্ধ থাকার কারণে কুড়িগ্রামের পাশ্ববর্তী জেলা লালমনিরহাট, রংপুর,গাইবান্ধাসহ কুড়িগ্রামের গার্মেন্টসকর্মীরা কুড়িগ্রামের চিলমারীর এই রুট হয়ে চিলমারী ও জোড়গাছ এ দুটো ঘাট দিয়ে ঢাকায় যাচ্ছেন গার্মেন্টসকর্মীরা।
প্রশাসনের নজর এড়িয়ে চলমান বিধি নিষেধকে উপেক্ষা করে চলছে নৌযান। সকাল থেকে চিলমারীর এই দুটো ঘাট দিয়ে যাত্রীরা নৌকাযোগে নদী পাড় হচ্ছেন ।
গুনতে হচ্ছে ৩-৪ গুন অতিরিক্ত ভাড়াও।
স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিরা জানান,চিলমারী উপজেলার রমনা ঘাট থেকে রৌমারী ও রাজীবপুর নৌকা চলাচল অব্যাহত রয়েছে। লকডাউনে নৌকা চলাচল বন্ধ থাকার কথা থাকলেও আইনকে তোয়াক্কা না করেই নৌকা চলাচল অব্যাহত রেখেছে ঘাট কর্তৃপক্ষ।
ঢাকামুখী নৌযাত্রী মিলন, আশরাফুল, চাঁন মিয়া বলেন,’গার্মেন্টস খোলার কারনে আমাদের চিলমারী হয়ে ঢাকা যাওয়া হচ্ছে। নৌকায় আমাদের কাছ থেকে নিয়েছে ৪ গুন ভাড়া।’
এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক যাত্রীরা জানান, ঘাট কর্তৃপক্ষ কৌশলে তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন। এর প্রতিবাদ করলে হেনস্তা হতে হয় ঘাট কর্তৃপক্ষের কাছে এমনটি জানিয়েছেন যাত্রীরা। চলাচলকারী নৌকাগুলোতে যাত্রীদের ঠাঁসাঠাসি উপচে পড়া ভীড় দেখা গেলেও ঘাট কর্তৃপক্ষ তা স্বীকার করছেন না।মানা হচ্ছে না কোন প্রকার স্বাস্থ্যবিধি।
বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে নৌকা চালানোর বিষয়ে শ্রমিক হামিদুল বলেন, ‘এই নৌকার মালিক মহুবর। তার নির্দেশে নৌকা চলছে। লকডাউনের আগে রৌমারী ও রাজিবপুরের যাত্রীদের কাছ থেকে ১০০ টাকা করে নেয়া হয়েছিল। লকডাউনে যাত্রী কম হওয়ায় ২০০ টাকা করে নেয়া হচ্ছে।’
চিলমারী নৌঘাটের ইজারাদার বলেন,’যাত্রীদের চাপে এ সময় নৌকা চালাতে হচ্ছে। লকডাউনের কারণে চলাচলকারী নৌকাগুলোতে তেমন যাত্রী পাওয়া যায় না। কম যাত্রীতে নৌকা যাতায়াতে নির্ধারিত ভাড়া নেওয়া হলে তেল ও মাঝিদের মজুরি দিতেই টানাপোড়নে পড়তে হয়।
সে কারণে ভাড়া বৃদ্ধি করে যাত্রী প্রতি ২০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। লকডাউন শেষ হলে যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। তখন নির্ধারিত ভাড়া নেওয়া হবে।’
বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে নৌকা চালানোর বিষয়ে শ্রমিক হামিদুল বলেন, ‘এই নৌকার মালিক মহুবর। তার নির্দেশে নৌকা চলছে। লকডাউনের আগে রৌমারী ও রাজিবপুরের যাত্রীদের কাছ থেকে ১০০ টাকা করে নেয়া হয়েছিল। লকডাউনে যাত্রী কম হওয়ায় ২০০ টাকা করে নেয়া হচ্ছে।’
চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবগত । ঘাটে নৌ-পুলিশ কাজ করছে। স্বাস্থ্যবিধির মানার বিষয়টি নিশ্চিত করা হচ্ছে। লকডাউন উপেক্ষা করে নৌযান চালনা করা হচ্ছে এ বিষয়ে তিনি বলেন,”এতো লোকের মাঝে জেল-জরিমানা করার কোন সুযোগ নেই।”
সূত্রঃ বার্তা বাজার