।। জেলা প্রতিনিধি ।।
নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা গরুর হাটে লকডাউনের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে পুলিশ জনতার ধাওয়ার মুখে পড়ে। রবিবার (জুলাই ২৫) সন্ধায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সরকারি কাজে বাঁধা দেয়ার অভিযোগে ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫/২০জনকে আসামী করে কচাকাটা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। কচাকাটা থানার উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান বাদী হয়ে সোমবার (২৬ জুলাই) এ মামলা করেন।
পুলিশ জানায়, চলমান লকডাউন কাযর্কর এবং স্বাস্থ্য বিধি মানাতে ২৫ জুলাই রবিবার সন্ধায় কচাকাটা বাজারে গরুর হাটে দ্বায়িত্ব পালন করছিলেন এ.এস.আই বুলবুল ইসলাম এবং কনস্টেবল আজমাইন ইসলাম। দায়িত্ব পালনকালে গরুর হাটের দিকে ব্যাপক জনসমাগম দেখতে পান তারা। সেই জনসমাগম রোধ এবং স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার জন্য অনুরোধ করেন। এসময় কয়েকজন দৌড়ে পালানোর সময় তাদের মধ্যে একজনের হাতে থাকা বাজার মাটিতে পড়ে যায়। এতে কিছু লোক উত্তেজিত হয়ে উল্টো এএসআই বুলবুল ইসলাম ও কনস্টেবল আজমাইনকে ধাওয়া করেন। ধাওয়া খেয়ে এএসআই বুলবুল কচাকাটা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সড়কের পাশে অবস্থিত তার ভাড়া বাসায় প্রবেশ করেন। এসময় উত্তেজিত জনতা লাঠিসোটা নিয়ে তার বাসার সামনে অবস্থান নেয় এবং বাসার গেট ভেঙে ফেলার চেষ্টা করেন। পরে খবর পেয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহাবুব আলমসহ পুলিশের অন্যান্য সদস্যরা ঘটনা স্থলে গিয়ে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে এএসআই বুলবুলকে থানায় নিয়ে আসেন।
এ ঘটনায় কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা সোমবার সকাল ১১টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং স্থানীয়দের সাথে মতবিনিময় করেন।
পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা মামলা দায়ের হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কচাকাটা হাটে মানুষের জনসমাগম রোধে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছিল। এ সময় হাটের দুষ্টু প্রকৃতির কিছু লোক গুজব ছড়িয়ে দেয় হাটে পুলিশ এসে মারপিট করছে। ফলে একটি ভুল বোঝাবুঝির কারণে এমন অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি হয়। আসামীদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
//নিউজ/কুড়িগ্রাম//সুভাষ/২৬/২১