।। নিউজ ডেস্ক ।।
উলিপুরে পাটের বাম্পার ফলনে পাটচাষে নতুন করে ফিরেছে কৃষক। প্রান্তিক কৃষকের চোখে সোনালী স্বপ্ন। বিগত বছরগুলোর থেকে ২০১৯-২০ অর্থ বছরে হঠাৎ করেই কৃষক পাটের দাম ভালো পাওয়ায় আবহাওয়ার সাথে তাল মিলিয়ে এ বছরেও নতুন করে পাটচাষে উদ্যমী হয়েছে কৃষক।
গত অর্থ বছরে প্রতিমন পাটে কৃষক দাম পেয়েছিল ৪-৫ হাজার টাকা। দামের বিষয়টি মাথায় রেখেই এ বছরেও কৃষক পাটচাষে ফিরেছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ১৭৫০ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রা জমি নির্ধারন করা হলেও ২৮৪০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ছাড়াও পাট অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত বস্ত্র ও পাট মন্ত্রনালয় এর অধিনের প্রকল্প উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ প্রকল্প এর আওতায় সারা দেশে ৪৩টি জেলার মধ্যে ২৩০ টি উপজেলায় তারমধ্যে কুড়িগ্রাম জেলার সাতটি উপজেলার প্রতিটি উপজেলায় ৩ হাজার পাট চাষীদের বিনামূল্যে বীজ, সার দেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। একটি সূত্র জানায়, উলিপুরে ওই প্রকল্পের আওতায় ২ হাজার ৭ শত জনকে বিনামূল্যে বীজ সহায়তা দেয়া হয়েছে।
থেতরাই ইউনিয়নের হারুনেফড়া গ্রামের কৃষক মোজাফফর, সাহেব আলী, পান্ডুল ইউনিয়নের তনুরাম গ্রামের কৃষক অমল এবং পৌরসভার আব্দুল হাকিম গ্রামের কৃষক আব্দুস সামাদ জানান, বিগত কয়েক বছর থেকে পাট চাষ করিনা গত বছর পাটের দাম ভালো পাওয়ায় এবছর পাট আবাদ করেছি। বিভিন্ন ইউনিয়নের অনেক কৃষক ইতোমধ্যে পাট গাছ কেটে জাগ দিয়েছেন।
উপজেলা উপ-সহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা দুলাল কুমার দাস জানান, পাট চাষে কৃষককে উদ্বুদ্ধ করার জন্য উপজেলার প্রায় ২ দুই হাজার ৭ শত কৃষককে বিনামূল্যে বীজ বিতরণ করেছি এবং বিভিন্ন সময় কৃষককে ট্রেনিং করিয়ে আরো বেশি পাট চাষে উদ্বুদ্ধ করা হবে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, কৃষক দাম ভালো পাওয়ায় পাট উৎপাদন বেড়েছে, এবছর লক্ষ্যমাত্রার থেকেও অতিরিক্ত প্রায় ৬৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। তিনি আরও জানান, পলিথিন নিষিদ্ধ করে পাটের তন্তুকে ব্যবহার করে পাটের ব্যাগ ও চটের ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে পাট উৎপাদন আরও বাড়বে।
//নিউজ/উলিপুর//সুভাষ/জুলাই/২০/২১