।। নিউজ ডেস্ক ।।
প্রায় ৪৮ ঘন্টা নানান নাটকীয়তার পর ভিজিএফের ১৫০ বস্তা পঁচা চাল পরিবর্তন করে দিলেন উলিপুর খাদ্য গুদামের (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা শাহিনুর রহমান। রবিবার (১৮ জুলাই) বিকেলে উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদে এসব চাল পাঠানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান বি এম আবুল হোসেন।
জানা গেছে,উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নে অসহায় দুস্থ্য পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে ভিজিএফের চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। শুক্রবার (১৬জুলাই) ওই ইউনিয়নে বিতরণের জন্য ৬টি ট্রলিতে ৫০ কেজি ওজনের ৯১০ বস্তা ভাল চাল খাদ্য গুদাম থেকে বের করা হয়। কিন্তু গুদাম কর্মকর্তার যোগসাজশে একটি সিন্ডিকেট চক্র ৬টি ট্রলির মধ্যে ১টি ট্রলিতে করে সরকারি সীল ছাড়াই ১৫০ বস্তা খাওয়ার অনুপযোগি পঁচা ও দূর্গন্ধযুক্ত চাল পাঠায়। বিষয়টি বুঝতে পেরে ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও গুদাম কর্মকর্তাকে অবগত করেন। গুদাম কর্মকর্তার কথা মত ১৫০ বস্তা পঁচা চাল ফেরত পাঠান ইউপি চেয়ারম্যান। কিন্তু মুহুর্তেই চালগুলো গুদাম কর্মকর্তার নয় বলে ঘোষনা দেন ওই কর্মকর্তা। এরপরই শুরু হয় নানা নাটকীয়তা। ঘটনাটিকে ধামাচাপা দিতে সিন্ডিকেট চক্রের লোকজন বেশ তৎপর হয়ে উঠেন। তাৎক্ষনিক খবরটি ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা জুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। ঘটনাটি গত শনিবার এবং মঙ্গলবার বিভিন্ন অনলাইন, স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। অবশেষে দীর্ঘ ৪৮ ঘন্টা পর রবিবার (১৮ জুলাই) বিকেলে ১৫০ বস্তা পঁচা চালের পরিবর্তে ভাল চাল হাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদে পাঠানো হয়।
হাতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন বলেন, গত শুক্রবার ৯১০ বস্তার মধ্যে ১৫০ বস্তা পঁচা ও দূর্গন্ধযুক্ত চাল খাদ্য গুদাম থেকে পাঠানো হলে সেই চাল ফেরত পাঠাই। আজ রবিবার সেই ১৫০ বস্তা চালসহ ৫০৪ বস্তা (২৫.২ মে.ট) চাল বুঝে পাই।
উলিপুর খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহিনুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ১৫০ বস্তা চালের ব্যাপারে কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। এক প্রশ্নের জবাবে ওই কর্মকর্তা ব্যস্ততার অজুহাত দেখিয়ে ফোন কেটে দেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ-জান্নাত রুমি বলেন, ১৫০ বস্তা ফেরত দেয়া চাল গুলো নাকি খাদ্য গুদাম কর্মকর্তার নয়। আমি ইউনিয়ন পরিষদের ও গুদামের রেজিষ্টারে কোন গড়মিল পাইনি। তবে মাঝখানে ১৫০ বস্তা পচা চাল কোথা থেকে এসে কোথায় গেল সেটার কোন হদিস মিলেছে না। এ বিষয় নিয়ে তদন্ত চলছে।
//নিউজ/উলিপুর//মালেক/জুলাই/১৮/২১