।। জেলা প্রতিনিধি ।।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় এক নারী কাউন্সিলের ওপর হামলার ঘটনায় ওই নারী কাউন্সিলরকে বাঁচাতে গিয়ে প্রতিক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন জাহিদ হাসান (১৮) নামে এক প্রতিবন্ধী যুবক। বুধবার (১৪ জুলাই) সকালে উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের কাচিচর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত জাহিদ ওই ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা আসনের কাউন্সিল ছলিমা বেগমের ছেলে। কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার (ওসি) খান মো. শাহরিয়ার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ ঘটনায় কাজল খান কাশেম (৩০) নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কাশেম কাচিচর গ্রামের সায়ফুল হকের ছেলে। গুরুতর আহত মহিলা কাউন্সিলর ছলিমা বেগম কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মহিলা কাউন্সিলর ছলিনা বেগমের বাড়িতে এলাকার এক নারী ও তার মেয়ে ত্রাণ সহায়তা চাইতে আসেন। এসময় ছলিনা বেগম এর বাড়ির সামনে প্রতিবেশী কাশেমের বাড়ি সংলগ্ন রাস্তায় ত্রান নিতে আসা নারীর সাথে ছলিমা বেগমের বাকবিতন্ডা শুরু হয়। ওই রাস্তা নিয়ে কাশেমের সাথে ছলিনা বেগমের বিরোধ চলে আসছিল। ত্রাণ নিতে আসা নারীর সাথে ছলিনা বেগমের কথা কাটাকাটি কাশেম বাড়ির ভেতর থেকে শুনে মনে করে যে ছলিনা বেগম রাস্তার দ্বন্দের জেরে তাকে (কাশেম) ও তার পরিবারের লোকজনদের গালি গালাজ করছে। এই ভেবে কাশেম বাড়ির ভেতর থেকে ইউক্লিপটাস গাছের ডাল নিয়ে এসে ছলিনা বেগমের উপর অতর্কিত হামলা করে। এতে ছলিনা বেগম রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পরে গেলে তাকে রক্ষার জন্য তার প্রতিবন্ধী ছেলে জাহিদ হাসান এগিয়ে এলে কাশেম তার হাতে থাকা ইউক্লিপসার্ট গাছের ডাল দিয়ে জাহিদ হাসানের মাথা ও শরীরে এলোপাথারি মারপিট করে। এতে জাহিদের মাথায় থাকা টিউমার ফেটে গিয়ে গুরুতর জখম হয় জাহিদ।
স্থানীয়রা ছলিমা বেগম ও জাহিদকে উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে জাহিদকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্ত কাজল খান কাশেমকে গ্রেফতার করে পুলিশ ।
ওসি খান মো. শাহরিয়ার জানান, ঘটনার খবর পাওয়ার পরপরই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উৎপল কুমার রায়সহ সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং মূল আসামি কাশেমকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
//নিউজ/কুড়িগ্রাম//চন্দন/জুলাই/১৪/২১