।। নিউজ ডেস্ক ।।
উলিপুরে দিনের পর দিন মাদকাসক্তদের উৎপাত বেড়েই চলছে। এতে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। এ কারণে বেড়েছে চুরি ছিনতাই। রবিবার (৪ জুলাই) গরু চুরির সময় মাদক ব্যবসায়ীর মূল হোতা কামরুল ও তার সহযোগি সাইফুলকে হাতে-নাতে আটক করে পুলিশে দিয়েছে জনতা। এ ঘটনায় গরুর মালিক হামিদুর রহমান বাদি হয়ে, ৯জনের নামে মামলা দায়ের করেন। ঘটনাটি পৌর শহরের রামদাস ধনীরাম কানিপাড়ায়।
পুলিশ ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পৌর শহরের পূর্ব হাজিপাড়া গ্রামের খলিলুর রহমানের পুত্র কামরুল ইসলাম নামওয়াস্তে খঁড়ির ব্যবসার আঁড়ালে দীর্ঘদিন ধরে মাদক চোরাচালান করে আসছেন। এলাকার বিভিন্ন বয়সী ছেলেদের মাদকে আসক্ত করে একটি চক্র তৈরি করেন তিনি। ৮-১০ জন সদস্যের ওই চক্রের নেতৃত্ব দেন কামরুল। কামরুলের নেতৃত্বে এলাকায় চুরি আর মাদকের প্রবণতা বেড়েই চলছে। এতে করে অতিষ্ট হয়ে গেছে জনজীবন। এ ঘটনায় রবিবার (৪ জুলাই) একই এলাকার কানিপাড়া গ্রামের হামিদুর রহমানের গোয়াল ঘরের লোহার লক (শিকল) কেটে একটি ষাঁড় চুরি সময় চোর চক্রের হোতা কামরুল ও তার সহযোগি সাইফুলকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয় মানুষজন। এরপর গরুর মালিক হামিদুর রহমান বাদি হয়ে, কামরুল (৪২) সাইফুল (১৯) নুরনবী মিয়া (৪৫), লুৎফর রহমান(৪০) সহ অজ্ঞাত ৪-৫ নামে মামলা দায়ের করেন।
এলাকাবাসী আরো জানায়, গত ২০ জুন দিনে দুপুরে স্থানীয় আব্দুর রাজ্জাকের বাই সাইকেল বাড়ি থেকে চুরি হয়। গত ১৯ মে আব্দুর রহিমের ঘর থেকে দু’টি বাইসাইকেল চুরি করে চক্রটি। গত ১৮ জুন স্থানীয় তোজাম্মেল হকের একটি সেচ পাম্প, ১৯ মে নুরনরী সরকারের একটি সেচ পাম্প চুরি হয়। এছাড়াও ওই এলাকার জামে মসজিদের ব্যাটারী, তাজিবর মিয়া দু’টি বকনা বাছুর, বাবলু মিয়ার খঁড়ির গোলা থেকে একটি বাটখারা,আব্দুল বাতেনের গলামালের দোকান, কালু মিয়া নামের এক ব্যক্তির ঘরের জানালা ভেঙে হাস মুরগি, নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন চুরি হয়। চক্রটি গাছের সুপারি, হাস মুরগি গাছের কলাসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র চুরি করে আসছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।
এলাকাবাসী আব্দুর রাজ্জাক, আজিজুল, নুরনবী, রফিক মাষ্টার, আব্দুল বাতেন, আব্দুর রহিমসহ স্থানীয় একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা হলে তারা বলেন, কামরুল এলাকার চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী। তার কারণে এলাকায় সামাজিক অবক্ষয় তৈরি হয়েছে। স্থানীয় লোকজন তার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। চুরি আর মাদকের ছড়াছড়িতে অতিষ্ট স্থানীয়রা।
উলিপুর থানা অফিসার ইনচার্জ ইমতিয়াজ কবির বলেন, ওই চক্রের মূলহোতা কামরুল। কামরুলের বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। ইতোমধ্যে কামরুল ও তার সহযোগি জেল হাজতে রয়েছে। অন্যান্য সদস্যের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। মাদকের বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্স ঘোষনা করেছি।
উলিপুর পৌর মেয়র আলহাজ্ব মামুন সরকার মিঠু বলেন, মাদকাসক্তদের উৎপাত বেড়েই চলছে। ইতোমধ্যে আমরা মাদকব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের তালিকা তৈরি করেছি। এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে মাদকের মূলৎপাটন করা হবে।
//নিউজ/উলিপুর//মালেক/জুলাই/০৮/২১