।। জেলা প্রতিনিধি ।।
কুড়িগ্রামে টানা বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে ধরলা, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমারসহ সবগুলো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এসব নদ-নদী তীরবর্তী বিস্তীর্ণ নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ফলে সবজি ক্ষেত জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।
এদিকে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে তিস্তা নদীর দুই পাড় জুড়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক ভাঙ্গন। অন্যান্য নদ-নদীর ভাঙ্গন রোধে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ চলমান থাকলেও তিস্তা নদীর ভাঙ্গন স্থায়ী ভাবে রোধ কল্পে সরকারের মহাপরিকল্পনার কারনে এখানে কোন জরুরি তীররক্ষা প্রকল্প নেই। ফলে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে তিস্তার দুইপাড়ে বেশ কয়েকটি স্থানে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। উলিপুর উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের গোড়াইপিয়ার এলাকায় ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে পাটক্ষেত, গাছপালা, বাগান বাড়িসহ আবাদি জমির বিশাল এলাকা নদীর গর্ভে গেছে। বর্তমানে গোড়াইপিয়ার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোড়াইপিয়ার জামে মসজিদ সহ শতাধিক বাড়ি ভাঙ্গনের অপেক্ষায় রয়েছে। এসব এলাকার আতংকিত মানুষ জনের মাঝে ভিটেমাটি হারানোর বুক ফাটা আহাজারি নদীর পারের বাতাস ভারী করে তুলছে।
এদিকে উজান থেকে আসা ঢলের পানি ও অবিরাম বর্ষণে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যার আশংকা করছেন স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের শুলকুর বাজার এলাকার মমিন মিয়া জানান, ধরলার পানি বৃদ্ধি পেয়ে আমার পটল ক্ষেত পানিতে তুলিয়ে গেছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি পেতে থাকলে আগামী দু-একদিনের মধ্যে নীচু এলাকার ঘর-বাড়িতে পানি ঢুকে পড়বে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আরিফুল ইসলাম জানান, টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে জেলার সবগুলো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও এখনও বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে বৃষ্টি পাত অব্যাহত থাকলে পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও তিস্তা নদীর ভাঙ্গন প্রবন এলাকা পরিদর্শন করে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
//নিউজ/কুড়িগ্রাম//সুভাষ/জুলাই/০২/২১