।। জেলা প্রতিনিধি ।।
চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদের দুথপাড়ের মানুষদের মধ্যে ভাঙন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুম শুরুর পরপরই নদের দুথপাড়ের মানুষদের মধ্যে বিরাজ করে একই আতঙ্ক। এবার ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের ১১ টি গ্রামের মানুষ। স্থানীয়দের অভিযোগ, বছরের পর বছর ধরে চলা এ ভাঙন রোধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপই নিচ্ছে না জেলা প্রশাসনসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তাব্যক্তিরা।
জানাগেছে, চিলমারী উপজেলার অষ্টমীর চর ইউনিয়নের নটারকান্দি, চর মুদাফৎথানা, চিলমারী ইউনিয়নের কড়াইবরিশাল, পশ্চিম মনতোলা, গাজীরপাড়া, নয়ারহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ খাউরিয়ার চর, ২০ বিঘা, নায়ের চর, ফেইচকা, রমনা ইউনিয়নের সাতঘড়ি পাড়া, মুন্সি পাড়াসহ ১১ টি গ্রামের মানুষদের মধ্যে ভাঙন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। কয়েকদিনের ব্যবধানে ওইসব গ্রামের আড়াই শতাধিক বাড়ীঘরসহ প্রায় ৭ শতাধিক বিঘা ফসলি জমি নদে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন কবলিত ৪ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা ভাঙনের বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন।
রমনা খরখরিয়া সাতঘরি পাড়া এলাকার বাসিন্দা ফাহমিদুল হক, জয়নাল অভিযোগ করে বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক ভাঙন কবলিত এলাকায় যে বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে তা গভীরে ফেলা হচ্ছে না। কোন রকমে লোক দেখানো কাজ হচ্ছে।
চিলমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গওছল হক মন্ডল বলেন, কয়েকদিনের ব্যবধানে আমার ইউনিয়নের দুটি গ্রামের ডের শতাধিক বাড়ীঘর সহ ২ শতাধিক বিঘা ফসলি জমি নদে বিলীন হয়ে গেছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হয়েছে। নয়ারহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু হানিফা বলেন, করোনা কালিন সময়ে নদে ভাঙন ‘মরার উপর খাড়ার ঘাঁথ হয়ে দেখা দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থদের পূনবাসন ও ভাঙন রোধে তিনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন।
এ বিষয়ে চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুবুর রহমান বলেন, ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করে তাদের সহযোগীতা করা হবে। সেই সাথে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে ভাঙন কবলিত এলাকায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।
//নিউজ/কুড়িগ্রাম//সুভাষ/জুলাই/০১/২১