।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
এক যন্ত্রণাদায়ক পতঙ্গের নাম মশা। বিরক্তিকর উপদ্রবের পাশাপাশি তারা রোগজীবাণু সংক্রমণ করে। তাই নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে মশা মারার সঙ্গে সঙ্গে যেসব স্থানে মশা জন্মানোর সম্ভাবনা আছে সেসব সেগুলো পরিষ্কার করে নেওয়া প্রয়োজন। মশা জন্মানোর জন্য উপযুক্ত স্থান, যেমন ঘরের কোনা, আঙিনায় জমে থাকা ময়লা ধুলা, পাত্রে জমে থাকা পানি এসব কিছু পরিষ্কার রাখতে হবে
ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু এবং হলুদ জ্বরের মতো মশা বাহিত বিপজ্জনক রোগগুলি ছাড়াও মশা কামড়ানোর পরে দীর্ঘক্ষণ বিরক্তিকর চুলকানি হতে পারে এবং তাদের শব্দ আপনার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে
মশা থেকে বাঁচার কিছু সহজ ঘরোয়া টিপস
পুদিনা পাতার কার্যকারিতা: একটি গ্লাসে অল্প পানি নিয়ে তাতে পুদিনার কয়েকটি পাতা রেখে দিন। অবশ্যই তিনদিন পরপর পানি বদলে দেবেন। এছাড়া পুদিনা পাতা সেদ্ধ করে সেই পানির গন্ধ পুরো ঘরে ছড়িয়ে দিন। উপকারী এই পাতা মশা তাড়াতে বেশ কার্যকরী। এতেও মশা দ্রুত পালাবে
সন্ধ্যায় হলুদ বাতি: পতঙ্গ সাধারণত আলোর প্রতি আকৃষ্ট হয়। ঘরে হলুদ আলো জেলে দিলে মশার উপদ্রব কমে যায়। বৈদ্যুতিক বাতির চারপাশে হলুদ সেলোফন জড়িয়ে দিতে পারেন, যেখানে আলোর রং অবশ্যই হলুদ হতে হবে। আর প্রতি সন্ধ্যায় জ্বালানো এই হলুদ আলোই মশা তাড়াবে।
শুকনো চা পাতা পোড়ানো: চা তৈরি ছাড়াও চা পাতা মশার উপদ্রব কমাতে পারে। সেজন্য চা পাতা ব্যবহারের পর ফেলে না দিয়ে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে। খেয়াল রাখবেন যেন তাতে পানি না থাকে। এরপর এই চা পাতা ব্যবহার করতে পারেন ধুয়া হিসেবে। শুকনো চা পাতা পোড়ালে ঘরের সব মশা-মাছি দ্রুত দূর হবে।
লেবু ও লবঙ্গ ব্যবহার: প্রথমে একটি বড় লেবু নিয়ে দুই ভাগ করে কেটে এর ভেতরের অংশে অনেকগুলো লবঙ্গ গেঁথে নিন। লবঙ্গের শুধুমাত্র ফুলের অংশটুকু বের হয়ে থাকবে। বাকি অংশের পুরোটাই লেবুর ভেতরে গেঁথে দিন। পরবর্তীতে লেবুর টুকরোগুলো একটি পরিষ্কার থালায় নিয়ে কক্ষের এককোণে রেখে দিন। এতে খুব সহজেই মশা তাড়াতে পারবেন। লেবু ও লবঙ্গ এভাবে রেখে দিতে পারেন জানালার গ্রিলেও। ফলে মশা ভেতরে ঢুকবে না।
ফুল স্পিডে ফ্যান ছেড়ে দেয়া: ঘরের সিলিং ফ্যানটি যদি ফুল স্পিডে ছেড়ে রাখেন তবে মশা আর কাছে ঘেঁষতে পারবে না। মশার ওড়ার গতিবেগের চেয়ে স্বাভাবিকভাবেই ফ্যানের ঘোরার গতি বেশি। তাই মশা সহজেই ফ্যানের ব্লেডের কাছে চলে যায়। মশার উপদ্রব বেড়ে গেলে ফুল স্পিডে ফ্যান ছেড়ে দিন।
নিম পাতার তেল প্রাকৃতিক মশা নিরধোক: মশা বা কীট-পতঙ্গ থেকে বাঁচতে নিম পাতার তেল ব্যবহার অপরিহার্য। কারণ, নিম পাতার তেল প্রাকৃতিক মশা নিরধোক সমৃদ্ধ
রসুন দিয়ে বানানো স্প্রে: রসুন পোকা-মাকড় দমনে বেশ কার্যকরী। মধ্যযুগে ইউরোপীয়রা প্লেগ মহামারি প্রতিরোধে রসুনের ব্যবহার করেছিলো। রসুনের স্প্রে খুব সহজেই বাড়িতে বানিয়ে নিতে পারেন। রসুনের কয়েকটি কোয়া ছেঁচে নিয়ে ১ কাপ বা আধা কাপ পানিতে ফুটান। অতঃপর তৈরি স্প্রে মিশ্রণটি একটি স্প্রে বোতলে নিয়ে দরজা, জানালা, ঘরের চারিদিকে স্প্রে করুন।
ঘরের কোণায় কোণায় কর্পূর ব্যবহার: কর্পূরের গন্ধ মশার জন্য বিদ্ধংসী। ৫০ গ্রাম কর্পূরের একটি ট্যাবলেট একটি ছোট বাটিতে রেখে বাটিটি পানি দিয়ে ভরে ঘরের কোণে রেখে দিন। সাথে সাথেই দেখবেন, মশা গায়েব হয়ে গেছে। প্রতি দুই দিন অন্তর পানি পরিবর্তন করে দিতে ভুলবেন না।
সূত্রঃ UNB