।। জেলা প্রতিনিধি ।।
রৌমারীতে পরকীয়ার জের ধরে এরশাদ আলী (৩০) নামের এক যুবক খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় মাসুদ রানা (১৯) নামের আরও এক যুবক আহত হয়েছেন। রোববার (জুন ২০) রাত ৮ টার দিকে উপজেলার খেওয়ারচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এরশাদ আলী ওই গ্রামের সুরুজ্জামান ওরফে ঘুতু মিয়ার ছেলে। ঘটনার পর ঘাতকদ্বয় পলাতক রয়েছে। পুলিশ ঘনাস্থল থেকে একটি রামদা ও একটি ধারালো চাকু উদ্ধার করেছে।
স্থানীয়রা জানান, রোববার সন্ধ্যায় এরশাদ আলী ও মাসুদ রানা টাইল¯ এর কাজ করার উদ্দেশ্যে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। বাড়ি থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দুরে নির্জন স্থানে গেলে ওঁৎ পেতে থাকা শিহাব (১৮) ও রাসেল (২৮) তাদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। মারপিটের একপর্যায়ে ধারালো চাকু দিয়ে এরশাদের গলা এফোর ওফোর করে দেয়া হয়। ঘটনাস্থলেই মারা যান এরশাদ। গুরুতর আহত হন মাসুদ রানা। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে ঘাতকরা পালিয়ে যায়। পরে তাদের রৌমারী হাসপাতালে ভর্তি করালে এরশাদকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। আহত মাসুদ রানাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
নিহত এরশাদের স্ত্রী লাভলি আক্তার জানান, গত কয়েক দিন ধরে আমার জ্যাঠাত ভাই শিহাদের সাথে বিরোধ চলে আসছিল। তাদের দাবি আমার জ্যাঠাত বোনের সাথে আমার স্বামীর পরকীয়া চলছে। বিষয়টি নিয়ে কথা কাটাকাটি ও সামান্য ধাক্কাধাক্কিও হয়। এরমধ্যেই আমার স্বামী ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হলে রাস্তায় তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। আমার স্বামী এমন মানুষ ছিলেন না। আমার ৪ বছরের একটি সন্তান রয়েছে। এখন আমার সন্তানের কি হবে? আমি ঘাতকদের ফাঁসি চাই। এরশাদের পিতা সুরুজ্জামান বলেন, আমার ছেলে কোনো ঝগড়া-বিবাদে জাড়ায় না। সে ঢাকায় টাইলস এর কাজ করে। আমার বড় বেয়াই মিটন মিয়ার ছেলেদের সাথে ভুল বোঝাবুঝির কারণে তারা আমার ছেলেকে খুন করেছে।
রৌমারী থানার ওসি মোনতাছের বিল্লাহ বলেন, লাশ উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যা মামলা হয়েছে। ঘাতকদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
//নিউজ/কুড়িগ্রাম//সুভাষ/জুন/২১/২১