।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
শিশুদের ধাপে ধাপে ঠান্ডা লাগা সমস্যা নিয়ে অভিভাবকদের দারুণ চিন্তায় পরতে হয়। কেউ বলে, এটা অ্যালার্জি আবার অনেকে বলে নিছক ভাইরাস। কিন্তু আসল ব্যাপারটি কী। শিশুদের রোগশোক নিয়ে হেলাফেলা করা যাবে না। শীত-বসন্তের সন্ধিক্ষণে যে ভাইরাসটি বলা যায় আমাদের মাঝে একধরনের রাজত্ব কায়েম করে তার নাম শ্বাসতন্ত্রের সিনসাইটিয়াল ভাইরাস।
চিকিৎসকরা এ সময়টিতে এ জন্য বাবা-মা বা অভিভাবকদের শিশুর দিকে বাড়তি নজর দেওয়ার কথা বলে থাকেন। রেসপিরেটরি সিনসাইটিয়াল ভাইরাস শ্বাসতন্ত্রের অন্যান্য ভাইরাসের মতো ছোঁয়াচে। আরএসভি একটি প্যারামিক্সো ভাইরাস, যা শ্বাসতন্ত্রের রোগ সৃষ্টি করে। আর এই ভাইরাসটি ব্রঙ্কিওলাইটিস এবং নিউমোনিয়ারও অন্যতম কারণ। বিশ্বের বেশ কিছু দেশে চিকিৎসকরা গবেষণা করে দেখেছেন, আরএসভির ক্ষেত্র বাড়ছে। স্কুল, বাজারঘাটের ঘনবসতিপূর্ণ পরিবেশ রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করে থাকে। ফ্লু বা ঠান্ডার উপসর্গ মনে হলেও এক বছরের কম বয়সী শিশুদের ব্রঙ্কিওলাইটিস এবং নিউমোনিয়ার কারণ হতে পারে এই ভাইরাস। আরএসভির অন্যান্য লক্ষণ হলো- ক্ষুধা কমে যাওয়া, জ্বর, নাক বন্ধ, কাশি এবং নাক দিয়ে পানি পড়া। ভাইরাসটি কাশি, হাঁচি, আপনার মুখ, নাক বা চোখ স্পর্শের মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। যদি আপনার সন্তানের শ্বাস নিতে অসুবিধা হয় অথবা পর্যাপ্ত তরল না পান করে, তবে আপনাকে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।
আরএসভির সংক্রমণ যেভাবে প্রতিরোধ করা যায়
আরএসভির জন্য কোনো টিকা নেই, তবে কিছু সুষ্ঠু রোগ ব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্যাভ্যাস এবং সর্বোপরি স্বাস্থ্য সতর্কতা আপনার সন্তানকে এ ধরনের ভাইরাস রোগ সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারে। আপনার সন্তান নিয়মিত হাত ধোয় কিনা তা নিশ্চিত করুন। জ্বর বা ঠান্ডা লেগেছে এমন মানুষের কাছ থেকে আপনার সন্তানকে দূরে রাখুন। সদ্যোজাত এবং দুই মাস বয়সী শিশুদের অতিরিক্ত সুরক্ষা প্রদান করা আবশ্যক। ছয় মাসের কম বয়সী শিশুদের নিয়মিত বুকের দুধ পান করালে এ রোগ সংক্রমণের হার কমে আসে। শিশু রোগাক্রান্ত হলে তাকে বিশ্রাম দিন, স্কুলে পাঠানো উচিত নয়। এ ছাড়াও নিয়মিত আপনার সন্তানের খেলনা এবং পরিধেয় সব সময় পরিস্কার রাখবেন।
সূত্র : সমকাল