।। নিউজ ডেস্ক ।।
উলিপুরে জমি-জমার বিরোধকে কেন্দ্র করে দশম শ্রেনির মাদ্রাসা ছাত্র বেনজির আহম্মেদ খাঁন (১৬) এর উপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে আহত ওই ছাত্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে, বুধবার (০২ জুন) বিকালে আপুয়ারখাতা গ্রামে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রের পিতা নাজমুল ইসলাম খাঁন বৃহস্পতিবার (০৩ জুন) থানায় অভিযোগ করেছেন।
ওই ছাত্রের পিতা জানায়, উপজেলার পান্ডুল ইউনিয়নের আপুয়ারখাতা গ্রামের নাজমুল ইসলাম খাঁনের সাথে পাশ্ববর্তী আপুয়ার খাতা সোত্তারভিটা এলাকার হানিফ উদ্দিনের ছেলে জাবেদ মিয়ার (৪২) জমি-জমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। ঘটনার দিন বুধবার বিকালে বেনজির আহম্মেদ খাঁন তার চাচা নোমান ফেরদৌস খাঁনের উলিপুরস্থ বাড়িতে কাজের জন্য টাকাসহ বাড়ির গাছের আম নিয়ে যাচ্ছিলেন।
পথিমধ্যে জাবেদ মিয়া গং বেনজিরকে একা পেয়ে মারধর করে টাকা, মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। মারধরের ফলে বেনজির গুরুত্বর অসুস্থ্য হয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। বেনজির আহম্মেদ খাঁন স্থানীয় আপুয়ারখাতা আলিম মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছাত্র।
বেনজিরের চাচা উপজেলা আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক নোমান ফেরদৌস খাঁন অভিযোগ করে বলেন, ভাতিজা বড় ভাইয়ের কাছ থেকে কাজের জন্য ৫০ হাজার টাকা ও আম নিয়ে আমার বাড়িতে আসছিলেন। পথিমধ্যেই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারী জাবেদ মিয়া ভাতিজার কাছ থেকে শুধু টাকা পয়সা কেড়ে নেয়নি তাকে পিটিয়ে বাম হাতের কুনুই ভেঙ্গে ফেলে ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুরুত্বর জখম করে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. মাঈদুল ইসলাম জানান, বেনজির আহম্মেদ খাঁন নামের এক কিশোরকে বুধবার রাতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। তার চিকিৎসা চলছে, বর্তমানে অবস্থা স্বাভাবিক রয়েছে।
উলিপুর থানার ডিউটি অফিসার উপ পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল বাতেন অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
//নিউজ/উলিপুর//চন্দন/জুন/০৩/২১