।। জেলা প্রতিনিধি ।।
ফুলবাড়ীতে দুটি মাদ্রাসায় ২ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে জাল নিবন্ধন সনদ দিয়ে চাকুরী করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ওই দুই শিক্ষকের দাখিলকৃত কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে বেসরকারী শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কতৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এদিকে দীর্ঘদিন ধরে ভুয়া সনদে সরকারি অংশের বেতন ভাতা উত্তোলন কারী ২ শিক্ষক চাকরি হারানোর আশঙ্কায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচারক সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত গত ১২ জানুয়ারী ২০২১ ইং তারিখ তথ্যছক অনুযায়ী ফুলবাড়ী উপজেলার শাহবাজার ফাজিল মাদ্রাসার সহকারী মৌলভী শিক্ষক আফরোজা খাতুন এবং সুজনের কুটি রুহুল আমিন দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) মোছাঃ নাছরিন সুলতানার নিবন্ধন সনদ জাল প্রতীয়মান হচ্ছে বলে বেসরকারী শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কতৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) চিঠি দিয়েছেন। এরই প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত শিক্ষকগণের অবৈধ নিয়োগ ও এমপিও ভুক্তির অভিযোগ সরেজমিন তদন্তের জন্য গত ১৯ এপ্রিল-২০২১ ইং তারিখ মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিদর্শক মুহাম্মদ হোসাইন এর মাদ্রাসায় আসার কথা। কিন্তু করোনাকালীন সময় সরেজমিনে আসতে না পারায় অভিযুক্ত ওই ২ শিক্ষকের শিক্ষাগত যোগ্যতার সকল সনদ, এনটিআরসিএ সনদ, নিয়োগ, যোগদান ও এমপিও ভুক্তির সমুদয় কাগজপত্র তার দপ্তরে পাঠানোর জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নির্দেশ দেন। তথ্যছক অনুযায়ী প্রতিষ্ঠান প্রধান গন সকল কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরে পাঠিয়ে দেন । এদের মধ্যে শাহবাজার ফাজিল মাদ্রাসার আফরোজা খাতুনের ইনডেক্স নং- ২০২৬৯২২ এবং সুজনের কুটি রুহুল আমিন দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মোছাঃ নাছরিন সুলতানার ইনডেক্স নং- ২০২৪৩৬৬। অভিযুক্ত শিক্ষক আফরোজা খাতুনের বেতন উত্তোলন বন্ধ থাকলেও নাছরিন সুলতানা বেতন ভাতা নিয়মিত উত্তোলন করে আসছেন।
এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত শিক্ষক নাছরিন সুলতানার সাথে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি অপর শিক্ষক আফরোজা খাতুন মুঠোফোনে জানান,তার সনদ জাল নয়, প্রতিপক্ষরা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
শাহবাজার ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবুল কাশেম বলেন , তিন বছর আগে কমিটির সীদ্ধান্ত মোতাবেক আফরোজা খাতুনের বিল ভাতা বন্ধ করা হয়েছে। এনটিআরসিএ সনদ জাল কিনা জানা নেই । তবে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে তার কাগজপত্র চাওয়ায় আমি তা পাঠিয়ে দিয়েছি।
সুজনের কুটি রুহুল আমিন দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মিজানুর রহমান জানান, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিদর্শক মহোদয়ের নির্দেশে অভিযুক্ত শিক্ষকদ্বয়ের সমুদয় কাগজপত্র ই-মেইলে অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল হাই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযুক্তদের সনদের ব্যাপারে অধিকতর তদন্তের জন্য কাগজপত্র প্রতিষ্ঠানের সুপার অধিদপ্তরে পাঠিয়েছে।
//নিউজ/কুড়িগ্রাম//সুভাষ/মে/০৫/২১