।। নিউজ ডেস্ক ।।
উলিপুর উপজেলাধীন বেগমগঞ্জ ইউনিয়নে হতদরিদ্রদের জন্য ১০ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল বিতরণের লক্ষ্যে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর ৩০ বস্তা চাল কালোবাজারে বিক্রির সময় আটক করেছে জনতা।
স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, খাদ্য অধিদপ্তরের আওতায় উলিপুর উপজেলাধীন বেগমগঞ্জ ইউনিয়নে খাদ্য ডিলার হিসেবে স.ম নুর এলাহী সিদ্দিকী নিয়োগ প্রাপ্ত হয়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ডিলারশীপ নিয়ে ৬’শ ২৮ জন হতদরিদ্র পরিবারকে কার্ডের মাধ্যমে বছরে ৫বার ৩০ কেজি করে চাল ১০ টাকা কেজি দরে বিতরণ করে আসছে।
গত পহেলা মে শনিবার খাদ্য ডিলার স.ম নুর এলাহী সিদ্দিকীর গোডাউন থেকে সরকারী সীলমোহরকৃত ৩০ বস্তা চাল কালো বাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে কড্ডার মোড় এলাকায় পৌছালে স্থানীয় জনগণ বিকেল ৪ টার দিকে চালের বস্তার গাড়ি আটক করে।
এলাকার বাসিন্দা আতাউর রহমান, রফিকুল ইসলাম, মানিক মিয়া, মতিয়ার রহমান ভ্যান সহ চাল আটক করে। পরে সরকারি চালগুলি স্থানীয় গ্রাম চৌকিদার সোনালাল বাসফোর এর বাড়িতে ১৪ বস্তা এবং নুর এলাহি মিয়ার দোকানে ১৬ বস্তা চাল সংরক্ষণ করা হয়। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি তৎক্ষনাত বেগমগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ বেলাল হোসেন মাস্টারকে অবগত করালে ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টি প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে জানিয়ে দেন।
এ ঘটনায় উলিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উলিপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এর নির্দেশক্রমে উলিপুর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা শাহিনুর রহমান ও সদ্য বদলীকৃত ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা মোঃ আমজাদ হোসেন কালো বাজারে চাল বিক্রির ঘটনার তদন্তে বেগমগঞ্জ গিয়ে সরেজমিন তদন্ত করেন।
এব্যাপারে সদ্য বদলীকৃত ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা মোঃ আমজাদ হোসেন জানায়, ইউএনও স্যার ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এর পরামর্শক্রমে আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। তদন্ত শেষ হলে ঘটনার রহস্য উন্মোচিত হবে।
বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ বেলাল হোসেন মাস্টার জানায়, ৩০ বস্তা চাল কালোবাজারে বিক্রির সময় স্থানীয় জনগণ আটক করেছে। আমি বিষয়টি জানতে পেরে প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। তারা বিষয়টি তদন্ত করে সঠিক বিচার করবেন বলে আশা করছি।
এ বিষয়ে বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ আকতার হোসেন জানায়, স্থানীয় জনগণ কালো বাজারে বিক্রির সময় ৩০ বস্তা চাল আটক করেছে। প্রতিটি বস্তায় সরকারি সীল রয়েছে। হতদরিদ্রের চাল আত্মসাতের চেষ্টা যেই করুক না কেন, তাকে আইনের আওতায় এনে বিচার করা উচিত।
//নিউজ/উলিপুর//সুভাষ/মে/০৩/২১