।। নিউজ ডেস্ক ।।
উলিপুরে এলজিএসপি প্রকল্পের কাজ কর্মসৃজন কর্মসূচি প্রকল্পের ৪০ দিনের শ্রমিক দিয়ে করানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, প্রকল্পের সভাপতি ও ইউপি সদস্য আছমা বেগম প্রায় ২ সপ্তাহ ধরে কর্মসৃজন কর্মসূচি প্রকল্পের ২০ জন শ্রমিক দিয়ে এলজিএসপি প্রকল্পের অধিনে নির্মিত পুকুরের গাইড ওয়ালের মাটি ভরাটের কাজ করাচ্ছেন। ঘটনাটি ঘটেছে, উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের নেফরা এলাকায়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ২০২০-২১ অর্থ বছরে এলজিএসপি-৩ প্রকল্পের মাধ্যমে গুনাইগাছ ইউনিয়নের নেফরা দাঁতের বাজার থেকে ভাটার পাড় গামী রাস্তায় আব্দুল বারীর পুকুরে গাইড ওয়াল নির্মাণে বরাদ্দ দেয়া হয়। নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। অভিযোগ রয়েছে, এলজিএসপির ওই প্রকল্পে সভাপতি-ইউপি সদস্য আছমা বেগমের নাম থাকলেও সদস্য সচিব হিসেবে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যকে বাদ দিয়ে মোজাহারুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে ইউপি সদস্য বানিয়ে ভুয়া সদস্য সচিব করে প্রকল্পের কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি নিয়ম বহির্ভূতভাবে গাইড ওয়ালের কাজ করেন। গাইড ওয়াল নির্মাণ ১ মাস পূর্বে শেষ হলে পরবর্তীতে এলজিএসপির বরাদ্দের টাকা থেকে কাজ না করে কর্মসৃজন কর্মসূচি প্রকল্পের শ্রমিক দিয়ে অবৈধ ভাবে ওয়াল সংলগ্ন মাটি ভরাটের কাজ করা হচ্ছে। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী গাইড ওয়ালের বরাদ্দের সাথেই মাটি ভরাটেরও বরাদ্দ রয়েছে।
এসময় কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিক কোহিনুর (৪৩), জগদীশ (৪০), রওশনারা (৩৬) , লাল ভানু (৪৮) সহ মাটি ভরাটের তদারকির দায়িত্বে থাকা গ্রাম পুলিশ প্রেমানন্দ জানান, চেয়ারম্যানের নির্দেশে শ্রমিকদের দিয়ে মাটি ভরাটের কাজ করা হচ্ছে।
গুনাইগাছ ইউপি সদস্য ও প্রকল্প সভাপতি আছমা বেগমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ৪০ দিনের শ্রমিক দিয়ে মাটি কাটা নিয়মবহির্ভূত কিনা সেটা তিনি জানেন না।
গুনাইগাছ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ ৪০ দিনের কর্মসূচির শ্রমিক দিয়ে মাটি কাটার কথা স্বীকার করে বলেন, বরাদ্দ না থাকা ওই শ্রমিক দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে। প্রকল্পের কমিটিতে ভূয়া ইউপি সদস্য তৈরির ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নামের ক্ষেত্রে লেখার ভুল হয়েছে। আমি ওইটা ঠিক করে দিব।
এ প্রসঙ্গে এলজিএসপি-৩ প্রকল্পের ডিস্ট্রিক ফ্যাসিলিটেটর (ডিএফ) ফারুক আহম্মেদ জানান, এলজিএসপি প্রকল্পে গাইড ওয়াল নির্মাণ কাজে মাটির কাজ থাকলে তা ওই বরাদ্দের মধ্যেই থাকবে। সরকারের কোন প্রকল্প অসম্পূর্ণ ভাবে করা হয়না। অনিয়মের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ-জান্নাত রুমি বলেন, এ বিষয়ে ডিস্ট্রিক ফ্যাসিলিটেটর যা বলেছেন, সেটাই সঠিক। উনি এই প্রকল্পগুলো দেখা শুনা করেন। ওই প্রকল্পে অনিয়ম থাকলে বিষয়টি দেখা হবে।
//নিউজ/উলিপুর//মালেক/এপ্রিল/২৯/২১