।। জেলা প্রতিনিধি ।।
রাজারহাটে নতুন জাতের গোল্ডেন ক্রাউন তরমুজ চাষ করে সফল তিন তরুণ। প্রথবারের মতো এ হলুদ রংয়ের তরমুজ চাষ করে উপজেলায় চমক লাগিয়েছে।
সরেজমিনে জানা যায়, রাজারহাট সদর ইউপির মেকুরটারী গ্রামের ও চাকিপশার ইউপির রতিরাম কমলওঝাঁ গ্রামের নুর আলম, মনিরুজ্জামান, মাহাবুবুল হাসান তিন বন্ধু মিলে রাজারহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর উত্তর পাশে হরিশ্বর তালুক মৌজায় মাত্র ৪০ শতাংশ জমিতে মাচায় নতুন জাতের (গোল্ডেন ক্রাউন) তরমুজ চাষ করেছে। প্রতিটি মাচা নেট দ্বারা আবৃত। পোকা-মাকড় আক্রমণ করতে না পারে সেজন্য মাচার মাঝখান দিয়ে ফেরোমেন ও ইয়েলো ট্যাপ লাগানো। মাচার ভিতরে ঢুকতে দেখা যায়, শতশত তরমুজ। তরমুজে মাচাগুলা ভরপুর। প্রতিটি গাছে চার থেকে পাচঁটি করে ঝুলে আছে। একেকটি তরমুজ দুই থেকে আড়াই কেজি ওজনের হয়। খেতে সুস্বাদ এ তরমুজের বাইরের অংশ হলুদ হলেও ভেতরে টকটকে লাল। তাদের ওই তরমুজ ক্ষেতের মাচাভর্তি তরমুজ দেখতে ভিড় করছে নানা বয়সের মানুষজন।
তরমুজ চাষী তরুণ উদ্দোক্তা নুর আলমের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, করোনার এ পরিস্থিতিতে প্রায় এক বছর ধরে কলেজ বন্ধ তাই বসে না থেকে লেখাপড়ার পাশাপাশি আমরা তিন বন্ধু মিলে তরমুজ চাষের প্রতি আগ্রহী হই। সম্পূর্ণ নিজস্ব র্অথায়নে ৪০শতাংশ জমিতে নতুন জাতের এ তরমুজ লাগিয়েছি। আমদের খরচ হবে প্রায় ৭০-৮০ হাজার টাকা। প্রতি কেজি তরমুজ বাজারে ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রিয় হচ্ছে। আর ২০ হতে ২৫ দিনের মধ্যে এ তরমুজ বাজারজাত করা হবে। প্রায় দেড় থেকে দুই লাখ টাকার তরমুজ বিক্রিয় আশাবাদী আমরা।
রাজারহাট উপজেলা কৃষি অফিসার সম্পা আকতার বলেন, ওই তিন তরুণ ইন্টারনেটের মাধ্যমে নতুন জাতের তরমুজের সন্ধ্যান পান এবং অনলাইনের মাধ্যমে বীজ সংগ্রহ করে। পরে শুরু থেকে ওই তিন তরুণ উদ্যোক্তাকে প্রযুক্তিগত সবধরনের পরামর্শ ও সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি। ওই তিন তরুণদের সাফল্য দেখে অন্য চাষীরাও আগ্রহী দেখাচ্ছেন। এতে শিক্ষিত তরুণরা চাষাবাদে এগিয়ে এলে কৃষি সেক্টর আরো সমৃদ্ধ হবে। আগামী বছর এ উপজেলায় তরমুজ চাষ আরো বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।
//নিউজ/কুড়িগ্রাম//সুভাষ/এপ্রিল/২৪/২১