।। নিউজ ডেস্ক ।।
উলিপুর সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর কার্যালয়ে সার্ভেয়ার, কানুনগোসহ গুরুত্বপূর্ণ ৯টি পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। এ অবস্থায় নামজারিসহ ভূমি সংক্রান্ত স্বাভাবিক কাজকর্ম বন্ধের উপক্রম। বিশেষ করে অনলাইন নামজারি কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ থাকায় ভূমি মালিকরা নাম খারিজ করতে পারছেন না। এ অবস্থায় জমি কেনাবেচা হচ্ছে না। ভূমি অফিসে জনবল সংকটের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে জমি রেজিস্ট্রি। এতে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর কার্যালয়ের অধীন ১৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা রয়েছে। এ কার্যালয়ে সহকারী কমিশনারসহ (ভূমি) মোট ১৬টি পদ রয়েছে। এরমধ্যে কয়েক বছর ধরে অতি গুরুত্বপূর্ণ সার্ভেয়ার ও কানুনগো পদসহ ৯টি পদ শূন্য রয়েছে। কর্মরত আছেন মাত্র ৭ জন। ফলে জনবল সংকটে পড়েছে কার্যালয়টি। এ কারণে অনলাইন নামজারি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এছাড়া অন্যান্য স্বাভাবিক কাজকর্মও প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম। এ পর্যন্ত নামজারির জন্য আবেদন পড়েছে সহস্রাধিক। প্রতিদিন লোকজন এসে ভিড় করলেও জনবল সংকটের কারণে তাদের সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর অফিস সূত্রে জানা যায়, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ৫ মাসের বিভাগীয় প্রশিক্ষণে আছেন। দীর্ঘদিন পর ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে একজন সার্ভেয়ার এসে সকালে যোগ দিলেও সেদিন বিকেলেই ডেপুটেশনে পঞ্চগড় জেলায় চলে যান। কানুনগো থাকলেও তিনি ২ বছর ধরে ভূমি মন্ত্রণালয়ে ডেপুটেশনে রয়েছেন। এছাড়া অন্য শূন্যপদগুলো হলো প্রসেস সার্ভেয়ার দু’জন, কম্পিউটার অপারেটর একজন, সার্টিফিকেট সহকারী দু’জন, সায়রাত সহকারী একজন ও অফিস সহায়ক একজন।
বজরা গ্রামের আবুল কাশেম ও পৌর বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম জানান, অনলাইনে নাম খারিজের জন্য আবেদন করে ৬ মাস ধরে ঘুরছেন, কিন্তু কাজ হচ্ছে না। সাহেবের আলগা চরের খোদেজা বেগম জানালেন, মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছে। কিন্তু নাম খারিজ না হওয়ায় জমি বিক্রি হচ্ছে না। এ কারণে মেয়ের বিয়েও দিতে পারছেন না। ভুক্তভোগী আব্দুর রাজ্জাক জানান, জমির নাম খারিজ না হওয়ায় প্রান্তিক পর্যায়ে ক্ষুদ্রশিল্প ও উদ্যোক্তারা ৪ শতাংশ সুদে প্রণোদনা নিতে পারছেন না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুর-এ-জান্নাত রুমি জানান, বিষয়টি জেলা প্রশাসককে কয়েক দফা লিখিত ও মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। এরপরও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
//নিউজ/উলিপুর//মালেক/এপ্রিল/২০/২১