।। জেলা প্রতিনিধি ।।
নাগেশ্বরীতে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলার শিকার একটি পরিবার পুনরায় হামলার আশংকায় ঘরবাড়ি ছেড়ে ৫ দিন ধরে আত্মগোপন রয়েছে। এ ঘটনায় নাগেশ্বরী থানায় পাল্টা-পাল্টি মামলা দিলেও পুলিশের নিস্ক্রিয় ভূমিকায় পালিয়ে থাকায় পরিবারটি তার বসতবাড়ীতে ঢুকতে পারছেনা। বর্তমানে সেখানে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার আলেপের তেপতি এলাকায় পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে আফজাল হোসেনের সাথে তারই সহোদর দুই বড় ভাই আলতাফ ও আশরাফ আলীর মধ্যে বিরোধ চলছিল দীর্ঘ দিন ধরে। গত ৫ এপ্রিল বিকেল ৩ টার দিকে বড় দুই ভাই আলতাফ হোসেন ও আশরাফ আলী তাদের পরিবারের লোকজনসহ বেশকিছু বহিরাগতদের নিয়ে আচমকা আমজাদ হোসেনের বাড়ি ও দোকানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে। এ সময় আফজাল হোসেন বাড়িতে না থাকায় হামলা কারীরা আফজাল হোসেনের স্ত্রীকে পিটিয়ে আহত করে । এ সময় আহত মায়ের আত্মচিৎকারে ছেলে মিনহাজুল সরকার রফি (২৩), রফিকুদ্দৌলা রিয়াদ (১৬), কন্যা আবিদা সুলতানা আলো (২০) এগিয়ে এলে হামলাকারীরা তাদেরকেও এলোপাতাড়ি মারধর করে। হামলার সময় আফজাল হোসেনের খামারের ২’শটি মুরগী ও ৩’শটি হাস লুট করে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় আফজালের স্ত্রী রাশেদাকে উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করায়। এদিকে মারমুখি অবস্থান দেখে আহত ছেলে মেয়েরা ভয়ে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গিয়ে অন্যত্র চিকিৎসা নেন।
এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্থ আফজাল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, আলতাফ হোসেন আমার আপন বড় ভাই হলেও তিনি নাগেশ্বরী উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি হওয়ায় ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে আমাকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করে আসছে। আরেক বড় আশরাফ আলীকে দিয়ে পৈত্রিক সম্পত্তি দখলে নেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।
এ ব্যাপারে কয়েকদফা গ্রাম্য সালিশ হলেও তারা কাগজ মানে না উল্টো একের পর এক সহিংস ঘটনা ঘটাচ্ছে।
আমি যাতে আমার বাড়িতে বসবাস করতে না পারি এ জন্য বহিরাগত সন্ত্রাসী দিয়ে প্রাণ নাশের হুমকী অব্যাহত রেখেছে। এ অবস্থায় বাড়ি-ঘর ছেড়ে আমি আমার পরিবার-পরিজন নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি।
এ বিষয়ে তার বড় ভাই আশরাফ আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমার ছেলেরা ভুল করে তার দোকানপাট ভাংচুর করেছে। এব্যাপারে আমি প্রয়োজন হলে ক্ষতিপুরণ দিতে চেয়েছি। অন বড় ভাই আলতাফ হোসেন জানান, আফজালের স্ত্রী রাশেদা একজন দস্যু প্রকৃতির মহিলা। ঘটনার সময় ওই মহিলাই আমার হাত ভেঙ্গে দিয়েছে। এ কারনে আমার ছেলেরা তার উপর আক্রমন চালিয়েছে। এতে আমার এক ছেলেও আহত হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নাগেশ্বরী থানার অফিসার ইনচার্জ রওশন কবির জানান, উভয় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে । বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
//নিউজ/কুড়িগ্রাম//সুভাষ/এপ্রিল/১০/২১