।। আব্দুল মালেক ।।
উলিপুর উপজেলার মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কিশোর-কিশোরী ক্লাবের শিক্ষকদের বেতন দেওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। শুধু তা-ই নয়, তিনি ক্লাবের কো-অর্ডিনেটরদের বেতনের প্রায় ৭২ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ। এ বিষয়ে সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, “২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে উপজেলায় ৯টি কিশোর-কিশোরী ক্লাব প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতিটি ক্লাবে কো-অর্ডিনেটর, জেন্ডার প্রমোটর, আবৃত্তি শিক্ষক ও সংগীত শিক্ষক হিসেবে ৩০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু করোনার কারণে গত বছরের ১৪ মার্চ থেকে ক্লাবগুলোর কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। ক্লাবের শিক্ষক ও জেন্ডার প্রমোটরদের জন্য একই বছরের জানুয়ারী, ফেব্রুয়ারি এবং মার্চের বেতন বরাদ্দ থাকলেও বিভিন্ন টালবাহানা করতে থাকেন মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শাহানা আক্তার। চাপের মুখে তিন মাস পর বেতন দিতে বাধ্য হন তিনি। অন্যদিকে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার নির্দেশনা মোতাবেক শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য সপ্তাহে দুই দিন নাশতার ব্যবস্থা করা হয়। প্রতিটি ক্লাবে ৩৫ জনের নাশতা বাবদ ৩০ টাকা করে বরাদ্দ রাখা হয়। সে হিসাবে পাঁচ মাসে লক্ষাধিক টাকা ‘জমলেও তা পরিশোধ না করে বিভিন্ন অজুহাত দেখান তিনি।”
আরো অভিযোগ, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ৯ জন কো-অর্ডিনেটরের মাসিক সম্মানীর প্রায় ৭২ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন। চলতি বছরের ১৭ মার্চ মুজিব শতবর্ষ পালনের টাকা না দিয়েও আত্মসাৎ করেছেন তিনি। এ নিয়ে ক্লাবের শিক্ষক ও জেন্ডার প্রমোটররা দীর্ঘদিন তাঁর কার্যালয়ে যোগাযোগ করলেও তিনি কোনো গুরুত্ব দেননি।
তিন বছরের মধ্যে মাঠ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলি করার বিধান থাকলেও অদৃশ্য কারণে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বছরের পর বছর ধরে এই উপজেলায় আছেন। ফলে তিনি বিভিন্ন অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কর্মকর্তা শাহানা আক্তারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নূর-এ-জান্নাত রুমি জানান, বরাদ্দ আসেনি। তাই টাকা দিতে পারেননি।
//নিউজ/উলিপুর//মালেক/এপ্রিল/৬/২১