।। নিউজ ডেস্ক ।।
উলিপুরে এক মাওলানার বিরুদ্ধে বিদেশী অনুদানে মসজিদ নির্মানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে, উপজেলার ধামশ্রেনী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বড়বাড়ি জামে মসজিদে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ধামশ্রেনী ইউনিয়নের নাওড়া গ্রামের ক্বারী মোঃ নুরুল ইসলামের ছেলে মাওলানা শাইখুল ইসলাম শাইখ তার দুই সহযোগি মমিনুল ইসলাম ও ইছাহক আলীকে সঙ্গে নিয়ে ধামশ্রেনী বড়বাড়ি জামে মসজিদ কমিটির সদস্যদের কাছে কুয়েত সরকারের অনুদানে নতুন আধুনিক মানের মসজিদ নির্মানের প্রস্তাব দেন। এরপর তারা মসজিদ নির্মানের জন্য কুয়েত সরকার থেকে বরাদ্দ আনতে টাকা লাগবে বলে জানান। নতুন মসজিদ পাওয়ার আশায় মসজিদ কমিটির সদস্য ও মুসল্লিগণ ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা সকলের উপস্থিতিতে মাওলানা শাইখুল ইসলাম শাইখসহ তার দুই সহযোগিকে প্রদান করেন। এরপর প্রতারকচক্র আধুনিক মসজিদ নির্মান না করে সময় ক্ষেপন করতে থাকেন।
পরবর্তীতে মুসল্লিদের অনুরোধে পুরাতন টিনসেড মসজিদ ভেঙ্গে একই স্থানে আধুনিক মসজিদের প্রাক্কলন, ডিজাইন, সাইনবোর্ড, প্রকৌশলী ও কুয়েত সরকারের কোন প্রতিনিধি ছাড়াই মাওলানা শাইখের সহযোগি মমিনুল ইসলাম প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মসজিদের কাজ শুরু না করে নিজেদের মনগড়া ছোট আকাড়ে একটি বিল্ডিং এর কাজ শুরু করেন। কাজ অসামপ্ত রেখেই তারা গা ঢাকা দেন। এ নিয়ে মসজিদ কমিটি বার বার প্রতারক চক্রের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তারা নানা অজুহাতে প্রায় ১ বছর ধরে সময় ক্ষেপন করতে থাকেন।
এদিকে নিরুপায় হয়ে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা নির্মানাধীন মসজিদের পাশে জনৈক আমিনুল ইসলামের বাড়ির আঙ্গিনায় অস্থায়ী ভিত্তিতে টিনের ঘর তুলে ৫ ওয়াক্ত নামাজসহ জুম্মার নামাজ আদায় করে আসছেন। এ অবস্থায় মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ঘটনার প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ করেছেন।
স্থানীয় মুসল্লি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বাবলু (৪৫), আলহাজ্ব নুরুল আমীন সরকার (৫৫), আলহাজ্ব মোজাম্মেল হক সরকার (৫২), মোখলেছুর রহমান চাঁদ (৪০), মঞ্জু মিয়া (৪১)সহ অনেকে অভিযোগ করে বলেন, আমরা অতি কষ্টে নিজেদের মধ্যে চাঁদা তুলে নতুন আধুনিক মসজিদ নির্মানের জন্য মাওলানা শাইখ ও তার সহযোগিদের ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা দিয়েছি। তারা প্রতারনা করে আমাদের পূর্বের টিনসেড মসজিদ ভেঙ্গে নতুন মসজিদ নির্মান না করে টালবাহনা করছেন। এ কারনে বর্তমানে নামাজ আদায় করতে সকল মুসল্লিগণ দূর্ভোগ পোহাচ্ছে। আমরা এ ধরনের ঘটনার প্রতিকার চাই।
এ বিষয়ে মাওলানা শাইখুল ইসলাম শাইখ এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার নাম্বার (০১৭৯১৮২৫৯০৪-০১৭১৮০৫৭৩৩৫) বন্ধ পাওয়া যায়। তবে তার সহযোগি ইছাহক আলীর সাথে যোগাযোগ হলে তিনি জানান, এটি একটি ঝামেলা হয়ে গেছে। মাওলানা শাইখকে সঙ্গে নিয়ে বিষয়টি দ্রুত মিমাংসা করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ-জান্নাত রুমি অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, মসজিদের বিষয়টি স্পর্শকাতর, বিষয়টি দ্রুত দেখা হবে।
//নিউজ/উলিপুর//চন্দন/মার্চ/২৪/২১