।। নিউজ ডেস্ক।।
রাজারহাটে জমি-জমা নিয়ে কোন্দলের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় বসতবাড়ি ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও হামলায় ৫ জন আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (১৫ মার্চ) দিবাগত রাত ২ ঘটিকার দিকে উমর মজিদ ইউপির ফুলখাঁ (আটহাজারী) এলাকায়।
ওই এলাকার ইদ্রিস আলী ওরফে রানু গংদের সঙ্গে প্রতিবেশী তৈয়ব আলী গংদের দীর্ঘদিন ধরে ফুলখাঁ মৌজার জেএল নং-২০, খং নং-৩০৯, দাগ নং-১২৪৬ এর ৩৭ শতাংশ জমি নিয়ে বিবাদ ও আদালতে মামলা চলে আসছিল। সম্প্রতি মহামান্য আদালত থেকে ইদ্রিস আলী ওরফে রানু গংদের পক্ষে মামলার রায় আসে। এরপর আদালতের রায়কৃত জমিতে ইদ্রিস আলী রানু গংদের দুটি পরিবার সেখানে বসতবাড়ি তৈরি করে বসবাস শুরু করে। এরই জের ধরে প্রতিপক্ষ তৈয়ব আলী গংরা ১৫ মার্চ দিবাগত রাতে একদল ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে ইদ্রিস আলী গংদের বসতবাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এরপর সন্ত্রাসীরা ইদ্রিস আলীর আপন চাচাতো ভাই গরু ব্যবসায়ী হান্নান আলীর বাড়িতে হামলা ও লুটপাট চালিয়ে নগদ ১ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। হামলায় বাধা দিতে এলে সন্ত্রাসীদের হামলায় ৫ জন আহত হয়। আহতরা হলো-শুকুর আলী (৭০), হাজেরা বেগম (৬০), হারুন-অর-রশিদ (৩৫), ফাতেমা বেগম (২৫) ও রানু মিয়া (৪২)। গুরুত্বর আহত হারুন-অর-রশিদ কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল ও অন্যরা রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ঘটনায় সোমবার ইদ্রিস আলী ওরফে রানু বাদী হয়ে তৈয়ব আলী (৪০) কে প্রধান আসামী করে ৬ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক ১৫/২০ জনকে অজ্ঞাত নামীয় এবং আব্দুল হান্নান বাদী হয়ে ৮ জনকে আসামী করে রাজারহাট থানায় পৃথক দুটি এজাহার দায়ের করেন। মঙ্গলবার বিকেলে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এ বিষয়ে রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মো: রাজু সরকার বলেন মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ভুক্তভোগী রানু ও হান্নান গংদের পক্ষে আদালতের রায় এসেছে, এটি সঠিক। কিন্তু প্রতিপক্ষ তৈয়ব আলী গংরা আদালতের রায়কৃত জমি দখলে বাধা প্রদান করে। আশা করছি আগামী ২/৩ দিনের মধ্যে উভয় পক্ষকে থানায় নিয়ে বসে বিষয়টির সুরাহা করা হবে। আমি ভুক্তভোগী রানু ও হান্নান গংদের সঙ্গে কথা বলেছি তারাও মীমাংসার পক্ষে।
//নিউজ/উলিপুর//সুভাষ/মার্চ/১৬/২১