।। জেলা প্রতিনিধি ।।
রৌমারীতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবৈধ ট্রাক্টর (কাকড়া) অনিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষনা করা হলেও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অবাধে চলছে। এতে দুই দিনে ট্রাক্টরের আঘাতে আশরাফুল (৩০) ও অনিক মিয়া (১৮) গুরুতর আহত হয়। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে রৌমারী হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ময়ময়সিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
এদিকে গত মঙ্গলবার (৯ মার্চ) হোসেন আলী নামের এক কলেজ ছাত্র ট্রাক্টরের আঘাতে মারা যায়। এঘটনায় উত্তেজিত জনতা ঘাতক ট্রাক্টরটিতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় এবং রাস্তা অবরোধ করে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনিদিষ্টকালের জন্য ট্রাক্টর চলাচল বন্ধ ঘোষনা করেন। কিন্তু ট্রাক্টর (কাকড়া) মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে গত শনিবার জরুরী সভার আহ্বান করেন। আলোচনা সভা চলাকালে উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের বড়াইকান্দি গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে আশরাফুল ইসলাম ও যাদুরচর ইউনিয়নের বাইমমারী গ্রামের আনিছুর রহমানের ছেলে অনিক মিয়া নামের দুই যুবক ট্রাক্টরের আঘাতে গুরুতর আহত হলে তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাদের উভয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন। এ নিয়ে গত দুই মাসে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
অপর দিকে রবিবার (১৪ মার্চ) দুপুরের দিকে ফিটনেস বিহীন একটি টলি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চাক্তাবাড়ি নামক স্থানে লালমিয়ার মুদিদোকানে ঢুকে পড়ে। ভোররাত থেকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় শতশত ট্রাক্টর (কাকড়া) বেপরোয়া ভাবে চলছে। ফলে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সচেতন মহল।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে ট্রাক্টর বন্ধ ঘোষনা করার পরেও চলছে এ বিষয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল ইমরান বলেন, অবৈধ ট্রাক্টর চলার কোন নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। তবে কেউ জোর করে চালালে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
//নিউজ/কুড়িগ্রাম//সুভাষ/মার্চ/১৫/২১