।। নিউজ ডেস্ক ।।
রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের ঝগড়ারচর গ্রামে তিন বছরের শিশু শাফির বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় শিশুটির প্রতিবেশি কিশোর মামা আলমাস ইসলাম অপু (১৫) কে যশোরের ফুলেরহাটে কিশোর উন্নয়ণ কেন্দ্রে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে অভিযুক্ত অপুকে কুড়িগ্রাম জেলা শিশু আদালতে উপস্থাপন করা হলে আদালত এ আদেশ দেন। পরে অপুকে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর উদ্দেশে কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে নেওয়া হয়।
রৌমারী থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মোন্তাছের বিল্লাহ এবং কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারের জেলার শরিফুল আলম এসব তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি)বিকালে শিশু শাফি নিখোঁজ হলে ওই দিনই রাত সাড়ে ১১ টায় পাশর্^বর্তী একটি বাড়ি থেকে শাফির বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। শিশু শাফির পুরো নাম হুসাইন আহাম্মেদ শাফি (৩)। সে উপজেলার দাঁতভাঙা ইউনিয়নের ঝগড়ারচর গ্রামের প্রাইমারি স্কুল শিক্ষক জাহেদুল ইসলাম ও শরিফা ইসলাম দম্পতির একমাত্র ছেলে। আর অভিযুক্ত কিশোর অপু একই ইউনিয়নের সাটকড়াইবাড়ী গ্রামের সীমান্তবর্তী এলাকার আব্দুর রউফের ছেলে। তবে সে নিহত শিশু শাফিদের বাড়ির পাশে তার নানা আজিজুল ইসলামের বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করে। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র।
শাফির পরিবারের অভিযোগ, কয়েক দিন ধরেই অপু শাফিকে নিয়ে নিজের কাছে রাখতো। মোবাইলে গেম খেলতে দিয়ে তাকে ব্যস্ত রাখতো। ঘটনার দিনও সে শাফিকে নিয়ে গিয়েছিল। যে বাড়ি থেকে শাফির বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার হয় সেটিও শাফির নানা বাড়ি।
শাফির মা বলেন, ‘ আমার সন্দেহ সেই (অপু) আমার সোনামণিকে মেরে ফেলছে।’
এদিকে ঘটনার রাতেই পুলিশ অপুকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) নিহত শাফির বাবা জাহেদুল ইসলাম বাদী হয়ে অপুকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা করেন। এরপর রবিবার সকালে অভিযুক্ত অপুকে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
ওসি মোন্তাছের বিল্লাহ জানান, জিজ্ঞাসাবাদে অপু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত কিছু জানাননি ওসি।
ওসি বলেন, ‘ নিহত শিশুটির বাবা বাদী হয়ে অপুকে অভিযুক্ত করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আমরা অভিযুক্ত কিশোরকে আদালতে উপস্থাপন করলে আদালত তাকে কিশোর উন্নয়ণ কেন্দ্রে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।’
কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারের জেলার শরিফুল আলম জানান, ‘ কিশোর অপু বর্তমানে জেলা কারাগারে রয়েছে। আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক তাকে খুব শিঘ্রই যশোরের ফুলের হাটে অবস্থিত কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হবে।’
//নিউজ/কুড়িগ্রাম//চন্দন/ফেব্রুয়ারি/০৮/২১