।। নিউজ ডেস্ক ।।
উলিপুরে বে-সামরিক গেজেটভুক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহনে যাচাই-বাছাইয়ের সময় দুই রাজাকারকে চিহ্নিত করেছে কমিটি। তারা হলেন মোন্তাজ আলী ও মৃত ওসমান আলী। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) কর্তৃক প্রেরিত তালিকায় মৃত ওসমান আলী ৬ ও মোন্তাজ আলীর নাম ৭ নম্বরে রয়েছে। এ ঘটনায় জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, শনিবার (ফেব্রুয়ারি ০৬) উপজেলা পরিষদ হলরুমে বাচাই কমিটির সামনে রাজাকার মোন্তাজ আলী ৩জন মুক্তিযোদ্ধাকে সাক্ষ্য দেয়ার জন্য নিয়ে আসেন। সেখানে উপস্থিত জামুকার বিশেষ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইলাম তাদের জেরা করেন। এক পর্যায়ে তারা স্বীকার করেন মোন্তাজ আলী তাদের সাথে যুদ্ধে অংশ করেননি। তখন ওই মুক্তিযোদ্ধাদের রাজাকারের পক্ষে সাক্ষ্য দিতে আসার জন্য ভৎসনা করা হয়। এরপর রাজাকার মোন্তাজ আলীকে যাচাই-বাছাইস্থল থেকে বের হয়ে যেতে বলা হয়। এ ঘটনায় জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে, মৃত রাজাকার ওসমান আলীর পক্ষে তার ওয়ারিশ ফরম জমা দিতে এলে তিনিও জেরার মুখে সাক্ষ্য দিতে পারেন নাই।
এ বিষয়ে মোন্তাজ আলী বলেন, তিনি রাজাকার ছিলেন তবে পরে আত্মসমর্পন করে পক্ষ বদল করে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। তবে তার এই বক্তব্যের স্বপক্ষে কোনো সাক্ষ্য আনতে পারেন নাই ।
উল্লেখ্য, তৎকালিন জেলা প্রশাসকের রাজাকারের তালিকায় তাদের রাজাকার হিসেবে যোগদানের তারিখ ২৯ অক্টোবর ১৯৭১ উল্লেখ রয়েছে।
এ ব্যাপারে যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুর-এ-জান্নাত রুমি বলেন, এ বিষয়ে আরো অধিকতর যাছাই-বাচাই করে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম বলেন, এরা দুজন আত্মস্বীকৃত ও তালিকাভুক্ত রাজাকার। এখানে তাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকায় থাকার কোনো সুযোগ নাই। এতোদিন তারা কিভাবে বে-সামরিক গেজেটভুক্ত ছিল-সেটাই বিস্ময়।
//নিউজ/উলিপুর//মালেক/ফেব্রুয়ারি/০৬/২১