।। চন্দন কুমার সরকার ।।
চর রাজিবপুর উপজেলার কোদালকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর ছক্কু এবং ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান রোজেনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। রবিবার (১৭ জানুয়ারি) স্থানীয় সরকার , পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব আবু জাফর রিপন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই আদেশ দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন পৃথকভাবে প্রকাশ করা হয়েছে।
রাজিবপুর উপজেলার কোদালকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর ছক্কুকে সাময়িক বরখাস্তের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত ইউনিয়নের হাট বাজার ইজারা, ভিজিডি কার্ড প্রদান ও নাম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে অনিয়ম, কার্ডের ডুপ্লিকেশন, এক ওয়ার্ডের বাসিন্দাকে অন্য ওয়ার্ডের সুবিধা প্রদানসহ হাটের শেড ও মালামালসমূহ সরকারি নির্দেশ মোতাবেক নিলাম না করার অভিযোগ স্থানীয় তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় জেলা প্রশাসক, কুড়িগ্রাম অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছেন। জনস্বার্থে তার দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদে ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচিন নয় মর্মে সরকার মনে করে। চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর ছক্কু কর্তৃক সংঘটিত অপরাধমূলক কার্যক্রম পরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থি বিবেচনায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ধারা ৩৪ (১) অনুযায়ী উল্লেখিত চেয়ারম্যানকে তার স্বীয় পদ হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
এদিকে ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান রোজেনকেও সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। তার বিরুদ্ধে সাধারণ জনগণকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করা, সরকারি কাজে বাধা প্রদান, মন্দিরের ভেতর দোকানপাট তুলে দেওয়াসহ মন্দিরের গেট ভেঙে দেওয়ার হুমকি প্রদান, গভীর রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে চিৎকার চেঁচামেচি করে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের হুমকি প্রদান এবং ভূরুঙ্গামারী প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক মন্টুকে মারপিট করে গুরুতর জখম করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও জেলা প্রশাসক, কুড়িগ্রাম অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছেন। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান রোজেন কর্তৃক সংঘটিত অপরাধমূলক কার্যক্রম পরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থি বিবেচনায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ধারা ৩৪ (১) অনুযায়ী উল্লেখিত চেয়ারম্যানকে তার স্বীয় পদ হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
জনস্বার্থে জারিকৃত এই আদেশ অনতিবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে রাজিবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নবীরুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এখনও এ সংক্রান্ত চিঠি পাননি বলে জানান। তবে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপক কুমার দেব শর্মা জানান, সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে সাময়িক বরখাস্তের নির্দেশনা সম্বলিত প্রজ্ঞাপনটি তিনি ওয়েবসাইটে দেখেছেন।
//নিউজ/কুড়িগ্রাম//চন্দন/জানুয়ারি/১৮/২১