।। আব্দুল মালেক ।।
আগামী ৩০ জানুয়ারী তৃতীয় ধাপে উলিপুর পৌরসভা নির্বাচন। এ পৌরসভায় মেয়র পদে ৩জন প্রার্থীতা করছেন। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনিত পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক ছাত্রনেতা মোঃ মামুন সরকার মিঠু (নৌকা), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ৮ নং ওয়ার্ড সভাপতি আতাউর রহমান (হাতপাক) ও উপজেলা বিএনপি‘র সভাপতি মোঃ হায়দার আলী মিঞা (ধানের শীষ) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বদ্বিতা করছেন। আওয়ামী লীগ ও ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী এবারেই প্রথম নির্বাচন করলেও বিএনপি‘র প্রার্থী হায়দার আলী মিঞার মেয়র পদে এটি দ্বিতীয় নির্বাচন। এর আগে ২০০৪ সালে তিনি আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীকে পরাজিত করে মেয়র পদে নির্বাচিত হন। নির্বাচন কমিশনে দেয়া তথ্য মতে প্রার্থীদের হলফনামায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নামে কোন মামলা না থাকলেও ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী আতাউর রহমানের নামে নারী ও শিশু নির্যাতনের একটি মামলা রয়েছে। এছাড়াও বিএনপি প্রার্থী হায়দার আলী মিঞার নামে বিজ্ঞ আমলী আদালতের ৩টি মামলা থাকলেও দু’টি থেকে অব্যাহতি পান। তিনি একবার পৌর মেয়র ও একবার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকলেও তার স্ত্রীর সম্পদের পরিমাণ বেশি রয়েছে।
বিএনপি-
হায়দার আলী মিঞা, পেশা ব্যবসা, শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএ। বিজ্ঞ আমলী আদালতে ৩টি মামলার দু’টি থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। ব্যবসা থেকে তার বাৎসরিক আয় ৪ লাখ। নগদ টাকার পরিমাণ ৩৪ লাখ ২১ হাজার ৪১৯ টাকা। গৃহিনী স্ত্রী রেশমা বেগমের নামে রয়েছে ২৬ লাখ ১৪ হাজার ১৩৯টাকা। এছাড়াও স্ত্রীর নামে বিভিন্ন ধরণের সঞ্চয় ও স্থায়ী আমানতের পরিমাণ ৩০লাখ। স্বর্ণ নিজ নামে ৫ ভরি থাকলেও, স্ত্রীর নামে রয়েছে ১০ভরি। স্ত্রীর নামে কৃষি জমি রয়েছে ৭৮ শতক, নিজ নামে অকৃষি জমি রয়েছে ৩.৬৬শতক। আড়াই শতক জমির উপর রয়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। জনতা ব্যাংক থেকে ঋণের পরিমাণ ৩ লাখ ৪০ হাজার ৫১৯টাকা।
আওয়ামী লীগ-
মোঃ মামুন সরকার মিঠু, পেশায় ব্যবসায়ী, শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতকোত্তর। ব্যবসা থেকে তার বাৎসরিক আয় ৪ লাখ ৭৩ হাজার ৪১৭ টাকা। নগদ টাকার পরিমাণ ২লাখ ৫০হাজার। বিভিন্ন ব্যাংকে জমা রয়েছে ২৮লাখ ৫১হাজার ৫৬৯টাকা। স্বর্ণ ২৯ভরি। ইলেক্ট্রনিক সামগ্রি ২লাখ ৪৬হাজার ৫’শ টাকা, আসবাবপত্র ১লাখ ২০ হাজার এবং অন্যান্য সম্পদের পরিমাণ রয়েছে ২০হাজার। আত্মীয় স্বজনের কাছে ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-
আতাউর রহমান, পেশায় ব্যবসা, শিক্ষাগত যোগ্যতা দাখিল পাশ। ২০০০ সালের নারী ও শিশুনির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা চলমান রয়েছে। কৃষি খাত থেকে বাৎসরিক আয় ১লাখ ৮৫ হাজার টাকা। ব্যবসা থেকে ২লাখ। নগদ অর্থের পরিমাণ ১০হাজার। জমাকৃত অর্থের পরিমাণ ১লাখ ১হাজার টাকা। কৃষি জমি ৪.৬৭ শতক। এছাড়াও বিয়ের উপহার হিসেবে রয়েছে ১০ভরি স্বর্ণালংকার। ইলেক্ট্রনিক সামগ্রি ২০ হাজার, আসবাবপত্র ৫০হাজার টাকা।
//নিউজ/উলিপুর//মালেক/জানুয়ারি/১৬/২১