।। নিউজ ডেস্ক ।।
উলিপুরে অতিমাত্রায় শীতের কারণে গোরুর খামার গুলোতে ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে খুরা রোগ। গত ৬ দিনে এ রোগে মারা গেছে ৪০টি গোরু। যার বাজার মুল্য প্রায় ৫০ লাখ টাকা। আক্রান্ত হয়েছে শত শত খামারের গোরু। এক খামার থেকে অন্য খামারে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে খুরা রোগ। প্রানী সম্পদ বিভাগ জানায় ভারত থেকে আসা গোরু থেকে নুতন নুতন জাতের খুরা রোগ ছড়িয়ে পড়ছে যে কারণে প্রতিশোধক ভ্যাকসিন দিয়ে ও থামানো যাচ্ছে না এ রোগ। তাই আক্রান্ত খামার গুলোতে প্রতিদিন গোরু মারা যাচ্ছে। ফলে এ রোগে আক্রান্ত খামার মালিকরা গোরু বাঁচাতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। সর্ব শান্ত হয়ে পড়েছে কয়েকটি খামার মালিক। উপজেলা প্রানী সম্পদ বিভাগ জানায়, উপজেলার ছোট বড় ও প্রান্তিক পযার্য়ে প্রায় ২’শ গোরুর খামার রয়েছে। এরমধ্যে ৩০টি খামারে ছড়িয়ে পড়েছে খুরা রোগ। ভুক্তভাগি খামারীরা জানায় এ রোগে বেশী আক্রন্ত হচ্ছেও মারা যাচ্ছে বাছুর গোরু। আক্রান্ত গাভী গুলো ভালো হলে ও বাছুর গুলো বাচানো যাচ্ছে না। সরকারী ও বাজার থেকে কেনা ভ্যাকসিন দিয়ে ও কোন কাজ হচ্ছে না। একদিকে প্রচন্ড শীত অন্যদিকে খুরা রোগ নিয়ে খামরীরা মহা বিপদে পড়েছেন। খুরা রোগ দেখা দেয়ায় বাজারে ও গোরু বেচা কেনা বন্ধ হয়ে গেছে। রোগের কারণে দুধ উৎপাদন ও কমে গেছে। দুধের সরবরাহ কমে যাওয়ায় বাজারে দুধের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। উপজেলার বজরা এলাকায় প্রায় ১০টি খামার খুরা রোগ আক্রান্ত হয়েছে। গত ৬ দিনে উপজেলার চাঁদনী বজরা এলাকার আরাফ ডেইরী ফার্মের ১টি গাভীসহ ৮টি বাছুর, আবুল কালামের ৫টি, এন্তাজ মিয়ার ১টি, ধামশ্রেনী ইউনিয়নের যাদুপোদ্দার গ্রামের আফজাল মিয়ার ২টি, একই গ্রামের হায়দার আলীর ৬টি, কামাল পাশার ৩টি,তবকপুর ইউনিয়নের মিয়া পাড়া গ্রামের রোকুনুজ্জামানের ৫টি, হায়দার আলীর ৩টি, হাতিয়া ইউনিয়নের হিজলী গ্রামের হারুন মিয়ার ৩টি, পরেশ চন্দ্রের ২টি গরুসহ ৪০টি গোরু মারা গেছে। আরাফ ডেইরী ফার্মের মালিক মাহবুবার রহমান জানান, তার খামারে ৩/৪ দিনের ব্যাবধানে তার ৭টি বাছুর ও ১টি গাভী মারা যাওয়ায় সর্বশান্ত হয়ে পড়েছেন। বর্তমানে তার খামারে ২১টি গাভী ও ১৫টি বাছুর রয়েছে তার মধ্যে আরো বেশ কয়েকটি আক্রান্ত হয়েছে। ফলে গোরু গুলো নিয়ে তিনি মহা বিপদে পড়েছেন।
উলিপুর আদর্শ কেন্দ্রীয় দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় সমিতির সভাপতি আফজাল হোসেন জানান, শীতের প্রচন্ডতায় দ্রুত খুরা রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। অন্যান্য বার এ রোগে আক্রান্ত হলে ও তেমন একটা মারা যেত না। কিন্ত এবার তার উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে, আক্রান্ত হলে বাঁচানো যাচ্ছে না। বিশেষ করে বাছুর গোরু গুলো বেশী ঝুকিতে পড়েছে।
উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিসার ডাঃ আব্দুল আজিজ প্রধান রোগে আক্রান্ত হয়ে গোরু মারা যাওয়ায় কথা স্বীকার করে বলেন,এ বার অতিমাত্রায় শীত ও ভারত থেকে আসা গোরু গুলো থেকে নুতন নুতন টাইপের খুরা রোগ এসে খামার গুলো আক্রান্ত হচ্ছে। তবে তারা সরকারী ভাবে আক্রান্ত খামার গুলোতে তদারকি ও প্রতিশোধক প্রয়োগ করছেন।
//নিউজ/কুড়িগ্রাম//মালেক/জানুয়ারি/০২/২১