।। নিউজ ডেস্ক ।।
উলিপুরে মৃদু শৈত্য প্রবাহ ও কনকনে ঠান্ডায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ব্রহ্মপূত্র ও তিস্তা নদী অববাহিকার ছিন্নমূল হত-দরিদ্র মানুষজন শীতবস্ত্রের অভাবে নিদারুণ কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। এদিকে, চলতি বোরো মৌসুমের বীজতলা চারাগাছ নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে প্রায় ২৪ হাজার হেক্টর জমিতে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ জন্য ১ হাজার ৩’শ ২৫ হেক্টর জমিতে কৃষকরা বীজতলা তৈরি করেছে। এরমধ্যে হাইব্রিড জাতের ৩’শ ৫৫ হেক্টর, উপসী জাতের ৯’শ ৪৫ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ২৫ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অনেক বীজতলার চারাগাছ অতিরিক্ত ঠান্ডা ও শৈত্য প্রবাহের কারণে নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। উপজেলার ধামশ্রেনী ইউনিয়নের কৃষক মজিবর রহমান জানান, শীতে অর্ধেক বীজ জন্মায়নি। এছাড়াও বীজতলার চারা গাছ শীতের কারণে নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। বিশেষ করে ব্রহ্মপূত্র ও তিস্তা নদী অববাহিকার বেশির ভাগ বীজতলা শীত জনিত রোগে আক্রান্ত হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন, বোরো বীজতলা রক্ষায় কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। তবে চলতি বোরো মৌসুমে চাহিদার চেয়ে বেশি বীজ তলা তৈরি করায় বীজ চারা সংকটের কোন সম্ভবনা নেই।
এদিকে, দিনের বেশিরভাগ সময় সূর্যের দেখা মিলছে না। সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে শীতের তীব্রতা বেড়ে যায়। রাতে কুয়াশায় ঢেকে যায় জনপদ। স্থানীয় আবহাওয়া অফিস বলছে, রবিবার সকাল ৯টায় এ অঞ্চলে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সেই সাথে কয়েকদিন ধরে এ জেলায় মৃদু শৈত্য প্রবাহ চলছে, যা চলতি সপ্তাহ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। শীতের তীব্রতায় ব্রহ্মপূত্র নদ বিচ্ছিন্ন সাহেবের আলগা বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের বেশির ভাগ মানুষ মানুষ শীতবস্ত্রের অভাবে নিদারুণ কষ্টে কাটাচ্ছে। তবে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্র জানায়, এ পর্যন্ত সরকারীভাবে ৬ হাজার ৪’শ ৪০ পিস কম্বল ও ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ-জান্নাত রুমি বলেন বরাদ্দকৃত কম্বল সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের পরিষদের মাধ্যমে বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
//নিউজ/উলিপুর//মালেক/ডিসেম্বর/২৭/২০