।। লাইফস্টাইল ডেস্ক ।।
কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত রোগীদের বলা হয় সেলফ প্রোনিং করতে। অর্থাৎ তারা নিজেরাই উপুড় হয়ে শুয়ে থাকবেন। আগে প্রোন পজিশনে রাখতে বলা হতো শুধু এআরডিএস আক্রান্ত রোগীদের। প্রোনিং অর্থাৎ উপুড় হয়ে শোয়া অবস্থায় ফুসফুসের অক্সিজেন সরবরাহ বৃদ্ধি পায়। ফলশ্রুতিতে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির হাইপোক্সিক অবস্থা বা শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি হওয়ার সম্ভাবনাও কমে আসে। শ্বাসকষ্ট থেকে একজন করোনাভাইরাস সংক্রমিত ব্যক্তির মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
তীব্র শ্বাসকষ্টের রোগীও প্রোনিং অনুশীলন করে নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রের ভেন্টিলেটরে যাওয়া থেকে রক্ষা পেয়েছেন। গবেষণা থেকে দেখা যায়, যেসব সংক্রমিত ব্যক্তি জেগে থাকা অবস্থায় দিনে কমপক্ষে ছয় থেকে দশ ঘণ্টা প্রোনিং করেন, তাদের দুই-তৃতীয়াংশেরই কোনো লাইফ সাপোর্টের প্রয়োজন হয়নি। এমনকি করোনা সংক্রমিত গর্ভবতী নারীও কোনো সমস্যা ছাড়াই গর্ভাবস্থার প্রথম পাঁচ মাস প্রোন পজিশনে থাকতে পারেন।
ছয়টি ধাপে প্রোনিং করা যেতে পারে; এখানে লক্ষ্যণীয় যে প্রোনিং চলাকালে পুরো সময় কিন্তু অবশ্যই জেগে থাকতে হবে। খাওয়ার পর প্রোনিং একটু কঠিনই বটে। সে ক্ষেত্রে খালি পেটেই তা করতে হবে।
ধাপ-১: মুখমণ্ডল বিছানার দিকে তাকিয়ে, পেটের নিচে একটি বা দুইটি বালিশ দিয়ে এবং হাঁটুর নিচ থেকে পায়ের তালু পর্যন্ত একটি বালিশ দিয়ে ও ডানহাত সামনে এবং বামহাত পেছনে ও নিচের দিকে দিয়ে ৩০ মিনিট অবস্থান করুন।
ধাপ-২: এরপর ডানদিকে ঘুরে মাথার নিচে তোয়ালে দিয়ে, বামহাত সামনে এবং ডানহাত পেছনে ও নিচের দিকে দিয়ে, পূর্বের ন্যায় পেটের নিচে একটি বা দুইটি বালিশ দিয়ে এবং হাঁটুর নিচ থেকে পায়ের তালু পর্যন্ত একটি বালিশ দিয়ে আবারো ৩০ মিনিট অবস্থান করুন।
ধাপ-৩: এবার বামদিকে ঘুরে মাথার নিচে তোয়ালে দিয়ে, ডানহাত সামনে এবং বামহাত পেছনে ও নিচের দিকে দিয়ে, আগের মতোই পেটের নিচে একটি বা দুইটি বালিশ দিয়ে এবং হাঁটুর নিচ থেকে পায়ের তালু পর্যন্ত একটি বালিশ দিয়ে আরও ৩০ মিনিট অবস্থান করুন।
ধাপ-৪: এখন মাথার নিচে একটি বালিশ ও দুই পায়ের ভাঁজে একটি বালিশ এবং পেটে একটি বালিশ চাপ দিয়ে ডানদিকে কাত হয়ে ৩০ মিনিট অবস্থান করুন।
ধাপ-৫: সবই ধাপ-৪ এর মতো, কেবল ডানদিকে কাত না হয়ে বামদিকে কাত হয়ে আরও ৩০ মিনিট অবস্থান করুন।
ধাপ-৬: সবশেষে পেটে একটি বালিশ চাপ দিয়ে বসে থাকবেন অথবা বিশ্রাম করবেন।
সূত্রঃ Jagonews24