।। নিউজ ডেস্ক।।
সাংবাদিকের মামলায় হাজতে যাওয়া কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়নের প্রভাবশালী চেয়ারম্যান জামিনে বের হয়ে এসে এলাকায় শো-ডাউন করে।
তার এই শো ডাউন ছিল এলাকায় ঘণ্টাব্যাপী তাণ্ডব চালানো। এতে এক সরকারি কর্মকর্তা ও শ্রমিক নেতাকে মারধর করে চেয়ারম্যান।
আহতাবস্থায় এদের একজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জামিন পেয়ে কুড়িগ্রাম জেল হাজত থেকে ছাড়া পান আসেন চেয়ারম্যান মাহামুদুর রহমান রাজেন।
রাত আটটার দিকে ভূরুঙ্গামারী বাসষ্ট্যান্ড পৌঁছায় সে। এ সময় সেখানে তার সমর্থকরা ফুলের মালা দিয়ে তকে বরণ করে। পরে একটি আনন্দ মিছিল বের করে।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের ফটকে হামলা চালায়।
পরে ইউএনও’র বাসভবনের দিকে মিছিলটি রওয়ানা হয়। পুলিশ খবর পেয়ে মিছিলটি ফেরত পাঠায়।
চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে উপজেলা চত্বর থেকে মিছিলটি বের হয়। এ সময় তারা পাবলিক লাইব্রেরীর চেয়ার-টেবিল, প্রেসক্লাবের দরজা, জানালা ভাংচুর করে।
মিছিল নিয়ে শহরে মহড়া দেবার সময় সাবরেজিস্টার ফখরুল ইসলামকে লাঞ্ছিত করেন।
জননী বস্ত্রালয়ের মালিক এবং উত্তর ধরলা মটর-মালিক সমিতির সহ-সভাপতি মহাদেব সাহাকে মারধর করে। তার মাথা ফাটিয়ে দেন চেয়ারম্যান।
আহত মহাদেব সাহাকে রংপুর মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
চেয়ারম্যান কর্তৃক সাধারণ মানুষ প্রায় সময় হামলার শিকার হচ্ছে। অজ্ঞাত কারণে প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে।
চেয়ারম্যানের প্রভাবে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে।
ভূরুঙ্গামারী প্রেসক্লাব সভাপতি আনোয়ারুল হক বলেন, চেয়ারম্যানের ভয়ে উপজেলার মানুষ ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে।
চেয়ারম্যান লোক ভাড়া করে।৪০দিনের কর্মসূচির সুবিধাভোগী নারী-পুরুষদের প্রলোভন দেখিয়ে মিছিলে নিয়ে এসেছেন।
চেয়ারম্যান পরিকল্পিত ভাবে আতংক ছড়ানোর উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়েছে। দ্রুত চেয়ারম্যানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ আতিয়ার রহমান জানান, মিছিল নিয়ে ব্যবসায়ীকে মারধরের ঘটনা শুনেছি। তবে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি।
অভিযোগ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপক কুমার দেব শর্মা বলেন, চেয়ারম্যানের এমন আচরণে আতংকিত হয়ে পড়েছে উপজেলাবাসী।
হামলার বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, গত ১১ ডিসেম্বর বিকেলে ভূরুঙ্গামারী প্রেসক্লাব সম্পাদক এমদাদুল হক মন্টুকে মাথায় আঘাত চেয়ারম্যান একেএম মাহমুদুর রহমান রাজেন।
এ ঘটনায় এমদাদুল হক মন্টু বাদী হয়ে ১৩ ডিসেম্বর ভূরুঙ্গামারী থানায় মামলা করলে ১৪ ডিসেম্বর অভিযুক্ত চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছিল।
//নিউজ/উলিপুর//চন্দন/ডিসেম্বর/২৪/২০