।। নিউজ ডেস্ক ।।
কুড়িগ্রামে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে প্রতিদিন একটু একটু করে বেড়েই চলছে শৈত্য প্রবাহ। প্রতিদিনই কমছে তাপমাত্রা ।
রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার ( কৃষি ও সিনপটিক) জানায়, শনিবার (ডিসেম্বর ১৯) কুড়িগ্রাম জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হালকা রোদের দেখা মিললেও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি।
ঠান্ডা মোকাবেলায় সাধ্যের মধ্যে চেষ্টা করছে সবাই। তারপরেও চাহিদা ও সাধ্যে বিস্তর ফারাক থাকায় ঠান্ডায় সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছেন গ্রাম ও চরাঞ্চলের গরীব, ছিন্নমুল ও নিম্ন আয়ের মানুষ।
শরীরে হালকা কাপড় জড়িয়ে গুটিশুটি মেরে রাত্রি পার করে তারা। ঘরের ভাঙ্গা বেড়া দিয়ে সোজা বাতাস গিয়ে লাগে তাদের শরীরে। ঠকঠক কাঁপে শরীর। ঘুম হয় না রাতে। সকালে ওই অবস্থায় কাজে যেতে হয় তাদের। এতেই কাহিল হয়ে পড়েছেন তারা।
বয়স্করা খরকুটো জ্বালিয়ে উত্তাপ নিলেও শিশুদের নিয়ে বিপাকে পড়েছেন মায়েরা। ঠান্ডা জনিত জ্বর, সর্দি, কাশি ও নিউমনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে তারা।
রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক সুবল চন্দ্র জানান, মাঝারি ধরণের শৈত্য প্রবাহ আরও দুই একদিন দীর্ঘায়িত হতে পারে। তবে তাপমাত্রা এর চেয়ে হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা কম রয়েছে।