।। নিউজ ডেস্ক ।।
উত্তরের হিমেল হাওয়া, কনকনে ঠাণ্ডায় কুড়িগ্রামের মানুষের জীবন স্থবির হয়ে পড়েছে । বুধবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস। ঠাণ্ডা ও কুয়াশার কারণে কাজে বের হতে পারছেন না শ্রমজীবীরা ।
গরম কাপড়ের অভাবে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন হত দরিদ্র মানুষরা। শীত জনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা: মোঃ: নবিউর রহমান বলেন, শীতের কারণে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে শিশুরা ডায়রিয়াতে আক্রান্ত হচ্ছে।
দিনের বেশিরভাগ সময় সূর্যের দেখা মিলছে না। বিকেল হতেই বাড়ছে ঠাণ্ডার প্রকোপ। রাত যত গভীর হচ্ছে বাড়ছে শীতের তীব্রতা।
বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকছে প্রকৃতি। দিনের বেলায়ও হেড লাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন।
সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন জেলার চরাঞ্চলের দরিদ্র পরিবারগুলো। প্রয়োজনীয় গরম কাপড় না থাকায় অতি কষ্টে পরিবার নিয়ে রাত কাটাচ্ছেন তারা।
সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের বাসিন্দা মজলুম মিয়া জানান, কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা আর কুয়াশার জন্য কাজে যেতে পারছি না। গরম কাপড়ও নাই। ছেলে-মেয়ে নিয়ে খুবই কষ্টে আছি।
কুড়িগ্রাম শহরের রিকসা চালক আমজাদ হোসেন জানান, সকাল ১০ টার আগে বের হতে পারি না। আর এ সময়টা ভাড়াও কম। আয় রোজগার কমে গেছে।
কুড়িগ্রাম কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিসের পর্যবেক্ষণ সুবল চন্দ্র সরকার জানান, বুধবার জেলা সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মো: রেজাউল করিম বলেন, এ পর্যন্ত জেলার ৯ উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভার মাধ্যমে শীতার্ত মানুষের মাঝে সরকারিভাবে ৩৫ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
নতুন করে প্রত্যেক উপজেলায় শীত বস্ত্র বিতরণের জন্য ৬ লাখ করে টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া ৯ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
/নিউজ/কুড়িগ্রাম//সুভাষ/ডিসেম্বর/১৬/২০