।। নিউজ ডেস্ক ।।
প্রকাশ্যে বাজারের মধ্যে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক খোলা কাগজের প্রতিনিধি এমদাদুল হক মন্টুর মাথা ইট দিয়ে ফাটিয়ে দিয়েছেন সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান একেএম মাহমুদুর রহমান রোজেন। শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে এ ঘটনা ঘটেছে।
ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করায় মন্টুর মাথার মধ্যভাগ ফেটে ও থেঁতলে যাওয়ায় তাকে প্রথমে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রেসক্লাবের সভাপতি আনোয়ারুল হক।
তিনি আরও জানান, বিকেলে ভূরুঙ্গামারী বাজারে এসএম ডিজিটাল ক্যাবল নেটওয়ার্কের ফিডারের ডিস সংযোগ পরিবর্তন করছিলেন মজনু ও আব্দুল কাদের। এ সময় আকস্মিকভাবে ইউপি চেয়ারম্যান একেএম মাহমুদুর রহমান রোজেন সেখানে এসে ওই দুজনকে মারধর করেন। এ খবর শোনার পর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও এসএম ডিজিটাল ক্যাবল নেটওয়ার্কের স্বত্বাধিকারী এমদাদুল মণ্টু সেখানে আসলে তার মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করেন।
প্রেসক্লাবের সভাপতি আনোয়ারুল হক জানান, এমদাদুল হক মন্টু সুস্থ হয়ে ফিরে আসার পর এ ঘটনার আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম শুরু করা হবে।
এ বিষয়ে ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহা. আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাননি।
এদিকে এলাকাবাসী জানিয়েছেন, চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান রোজেন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ায় মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এজন্য প্রায় দুমাস ধরে অস্বাভাবিক আচরণ করছেন। ইতোমধ্যে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মচারী, হাসপাতালের স্টাফ, বাজার মসজিদের সম্পাদক ও মোয়াজ্জিনসহ অনেককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন। তার এমন আচরণে স্থবির হয়ে পড়েছে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপক কুমার দেবশর্মা জানিয়েছেন, সদর উপজেলার নিষ্ক্রিয়তার কারণে সরকারি কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযোগ করেছেন।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুন্নবী চৌধুরী জানিয়েছেন, এ পরিস্থিতিতে ১ নম্বর প্যানেল চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান সদর ইউনিয়নের অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করার দায়িত্ব পালন করবেন বলে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত মাসিক সমন্বয় সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে।