।। নিউজ ডেস্ক ।।
স্বামীর বাড়ির পাশেই বাবার বাড়ি। সাথে বাঁশ ঝাড়। সেই বাঁশ ঝাড়ে পড়ে আছে গৃহবধূর নিথর নিষ্প্রাণ দেহ। হাতে বিষের বোতল, পাশে পড়ে আছে টর্চ লাইট। পরিবার ও এলাকাবাসীর ধারণা, সোমবার (১২ অক্টোবর) দিবাগত রাতের কোনও এক সময় ঘর থেকে বেড়িয়ে বাঁশ ঝাড়ে গিয়ে বিষ পানে আত্মহত্যা করেছেন দুই সন্তানের জননী গৃহবধূ মোছা. লিমু (৩৩)। মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) সকালে কুড়িগ্রাম পৌর এলাকার বকসি পাড়ায় ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহফুজার রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত লিমু কুড়িগ্রাম পৌর এলাকার বকসি পাড়া গ্রামের নির্মান শ্রমিক ঠিকাদার কামরুজ্জামানের স্ত্রী এবং একই গ্রামের আব্দুল লতিফের মেয়ে। তার ঘরে দশম শ্রেণি ও ৬ষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া দুই কন্যা সন্তান রয়েছে।
এলাকাবাসী ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, নিহত গৃহবধূ লিমু প্রায় এক বছর ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। এক বছর ধরে তার চিকিৎসাও চলছিল। পাশাপাশি হওয়ায় তিনি কখনও বাবার বাড়ি আবার কখনও স্বামীর বাড়িতে থাকতেন। পরিবার ও এলাকাবাসীর ধারণা, সোমবার রাতে কোনও এক সময় তিনি স্বামীর বাড়ি থেকে বেড়িয়ে বাঁশ ঝাড়ে গিয়ে বিষ পানে আত্মহত্যা করেছেন। মঙ্গলবার সকালে বাঁশ ঝাড়ে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
নিহতের ছোট বোন লিনজা ও বড় মেয়ে কারিশমা জানান, লিমু দীর্ঘদিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। তিনি প্রায়ই বিষ খেয়ে মারা যাওয়ার কথা বলতেন। কিন্তু এর আগে সেরকম কোনও চেষ্টা করেননি। তাদের পারিবারিক কোনও সমস্যাও ছিল না। কিন্তু তিনি (লিমু) শেষ পর্যন্ত বিষ পানেই মারা গেলেন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ওসি মাহফুজার রহমান জানান, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে ওই গৃহবধূ বিষ পানে আত্মহত্যা করেছেন। ময়না তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
//নিউজ/উলিপুর//চন্দন/অক্টোবর/১৪/২০