|| নিউজ ডেস্ক ||
উলিপুরে আনসার ভিডিপি ক্লাব ভাংচুর ও লুটপাট করে জমি দখল করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে, উপজেলার কাশিয়াগাড়ি এলাকায়। এ ঘটনায় ওই ইউনিয়নের আনসার ভিডিপির দলনেতা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ওসি উলিপুরসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ধামশ্রেনী ইউনিয়নের কাশিয়াগাড়ি গ্রামের রমজান আলীর ১০ শতাংশ (দলিল নং-১০৯৬১/৮৯) জমি ক্রয় করে প্রায় ৩১ বছর পূর্বে আনসার ভিডিপি ক্লাব প্রতিষ্ঠা করা হয়। এরপর সমিতির কার্যক্রম পরিচালিত হওয়া অবস্থায় প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারনে ক্লাব ঘরটি ক্ষতিগ্রস্থ্য হয় এবং কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ থাকে।
বর্তমানে উপজেলা আনসার ভিডিপি’র উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে ওই ক্লাবটি আবারও চালু করার উদ্যোগ গ্রহন করা হয়। গত ০৭ অক্টোবর স্থানীয় আনসার ভিডিপি সদস্যরা স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে উক্ত ক্লাবের চারিদিকে থাকে গাছের আগাছা পরিস্কার করা শুরু করেন। এ সময় ওই এলাকার রফিকুল ইসলাম (৬৫), আবু তাহের (৪৫), আবু সায়েম (৪০), খাদেমুল ইসলাম (৩৫), আব্দুল খালেক (৩৮) ও মামুন মিয়া (২৭) ক্লাবে এসে উক্ত জায়গা-জমি তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি বলে দাবী করে ক্লাবে থাকা সাইনবোর্ড, মুজিববর্ষের ব্যানার ও করোনা সচেতনামূলক ব্যানার ছিড়ে ফেলে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ওই জায়গা টিন ও বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে তারা দখলে নেন। এ ঘটনায় ওই ইউনিয়নের দলনেতা শাহাজালাল (৩৫) উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ওসি উলিপুরসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেন।
শাহাজালাল অভিযোগ করে বলেন, ক্লাবের ৫ বান্ডিল টিনের একটি ঘরের যাবতীয় টিন ও ক্লাবের আসবাবপত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তারা লুটপাট করে নিয়ে যায়। এছাড়া ওই সময় আনসার ভিডিপি সদস্যদের দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জায়গা থেকে তাড়িয়ে দেন।
এ বিষয়ে ক্লাবের জায়গা দখলকারী আবু তাহের বলেন, আমার বাবা ক্লাবকে ওই জমিটি দানপত্র করে দিয়ে যান। বাস্তবে ওই জায়গার একক মালিক আমার বাবা নন। তাছাড়া ক্লাবটি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় এবং আমাদের পরিবারের অন্যান্যদের অংশ থাকায় তা আমরা বুঝে নিয়েছি।
উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা সোলায়মান হোসেন জানান, জমিটি আনসার ভিডিপির নামে দলীলকৃত, ওই জায়গাটি সরকারি। এটি আমাদের মহাপরিচালকের নামে দলীলকৃত। সেখানে সাইনবোডর্, মুজিব বর্ষের ব্যানার ও করোনা সচেতনামূলক ব্যানারসহ ক্লাবঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে নিয়ে যায় তারা। বর্তমানে তারা জায়গাটি দখল করে টিন ও বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে নিয়েছে। এ বিষয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য বলেন এবং উভয় পক্ষকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ থানায় ডেকেছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ-জান্নাত রুমি অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, যেহেতু অভিযোগটি জমা-জমি সংক্রান্ত তাই এসিল্যান্ড ও উলিপুর থানাকে জরুরী ভিত্তিতে বিষয়টি দেখতে বলা হয়েছে। জমিটি দখলমুক্ত করার পর মাপজোক করে প্রকৃত মালিকানা নিশ্চিত করা হবে।
//নিউজ/উলিপুর//চন্দন/অক্টোবর/১২/২০