|| আব্দুল মালেক ||
চাকুরী আছে বেতন নেই। এ অবস্থায় উলিপুর পৌরসভার কর্মচারীরা কাজ করছেন। দীর্ঘ ৬ মাস বেতন ভাতা না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন ২য় শ্রেনীর এ পৌরসভার শতাধিক কর্মকর্তা কর্মচারী। নিয়মিত বেতন ভাতা না পাওয়ায় স্বাভাবিক কাজকর্মে ভাটা পড়েছে, দেখা দিয়েছে অচল অবস্থা। নির্বাচিত মেয়রের দীর্ঘ অনুপস্থিতি, তাই ভারপ্রাপ্ত প্যানেল মেয়র দিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে পৌরসভাটি।
জানা গেছে, রাজনৈতিক বিবেচনায় ১৯৯৮ইং সালে ২৭.৩৪ বর্গ কিঃ মিটার আয়তন ও ৯ ওর্য়াড ১৫টি গ্রাম নিয়ে গঠিত হয় উলিপুর পৌরসভা। বর্তমানে পৌরসভার লোকসংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। এর শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল। কর্তৃপক্ষ জানায়, আয়তনে অনেক বড় হলেও আয়ের তেমন কোন উৎস না থাকায় প্রতি বছর ধারদেনা করে চলতে হচ্ছে।
পৌর অফিস সূত্রে জানা গেছে, স্থায়ী কর্মকর্তা ও কর্মচারী ৩৪ জন, অস্থায়ী অর্থাৎ চুক্তিভিক্তিক কর্মচারী রয়েছে ৬৬ জন। এছাড়া নির্বাচিত মেয়রসহ ৯ ওর্য়াডের পুরুষ কাউন্সিলর রয়েছেন ৯ জন ও মহিলা কাউন্সিলর ৩ জন। আয় বলতে পৌর কর, ট্রেড লাইন্সেস, সাইকেল গ্যারেজ, অটোরিকশা ও রিক্সার টোল আদায়, বাজার আদায়, ঢাকা বাস স্ট্যান্ড, রেজিষ্ট্রি অফিস কর, ২টি হাট বাজার ও বিবিধ আয়সহ মাসে আয় হয় মাত্র ৮/১০ লাখ টাকা। সেখানে প্রতি মাসে কর্মচারী ও জনপ্রতিনিধিদের বেতন ভাতা দিতে লাগে ১৫ লাখ টাকা। ফলে প্রতি মাসে ঘাটতি থাকে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানান, এর ফলে বেতন ভাতা বকেয়া পড়েছে ৬ মাসের।
পৌরসভার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রনকারী কর্মী শ্যামছুল আলম জানান, ভাতা পাই মাত্র ৪ হাজার টাকা তাও নিয়মিত নয় বকেয়া পড়েছে ৬ মাসের। ৬ সদস্যের পরিবার নিয়ে খেয়ে না খেয়ে দুর্বিসহ জীবন যাপন করছি।
উলিপুর পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত সচিব মাহবুবুল আলম জানান, বড় কোন আয়ের উৎস না থাকায় এ সংকট তৈরী হয়েছে। তবে পৌরসভার নিজস্ব সুপার মার্কেটটি লীজ হলে আর এ সমস্যা থাকবে না।
ভারপ্রাপ্ত প্যানেল মেয়র আনিছুর রহমান জানান, পৌরসভার আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশী হওয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তবে এ সংকট খুব তাড়াতাড়ী কেটে যাবে।