।। আব্দুল মালেক ।।
উলিপুরে পান্ডুল ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। দুস্থদের ভিজিএফ এবং ভিজিডি’র চাল ভুয়া তালিকার মাধ্যমে আত্মসাৎ ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ভুক্তভোগীসহ ওই ইউনিয়নের আ.লীগের সভাপতি উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়সহ বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পান্ডুল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার মঙ্গা ওই ইউনিয়নে ২শ’ জন দুস্থ মহিলার নামে দুই বছর মেয়াদি ভিজিডি কার্ডের তালিকা তৈরি করে সংশ্লিষ্ট দফতরে জমা দেন। তালিকায় নাম থাকা দুস্থরা প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল পাবেন। এদিকে ভিজিডি চাল বিতরণের ২০ মাস পেড়িয়ে গেলেও অনেকেই জানেন না তালিকায় তাদের নাম রয়েছে এমনকি প্রতি মাসে তাদের নামে চাল উত্তোলন করা হলেও তারা তা জানেন না।
এমন অভিযোগ করেছেন ওই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের নিমাই চন্দ্রের স্ত্রী তরুবালা, ৩নং ওয়ার্ডের জহুরুল হকের স্ত্রী জোসনা বেগম, ১নং ওয়ার্ডের আব্দুর রশিদের স্ত্রী মল্লিকা বেগম, একই ওয়ার্ডের আব্দুল মমিনের স্ত্রী বিলকিছ বেগমসহ অনেকেই। বঞ্চিত দুস্থরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সরকার প্রতি মাসে আমাদের নামে চাল বরাদ্দ দিলেও আমরা তা জানি না। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতি অভিযোগ তুলে পান্ডুল ইউনিয়নের আ.লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বিভিন্ন দফতরে প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ করেছেন। তার অভিযোগ, ঈদুল আজহার পূর্বে ওই ইউনিয়নের ৫ হাজার ৫৩ জন দুস্থ মানুষের বিপরীতে ১০ কেজি করে ভিজিএফ এর চাল বিতরণ করা হয়। কিন্তু ওই তালিকায় চেয়ারম্যান কৌশলে একই ব্যক্তির নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর কোথাও ৩ বার, কোথাও ২ বার করে একাধিক ওয়ার্ডের সিরিয়াল নম্বর ব্যবহার করেছেন।
পান্ডুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার মঙ্গা তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ভিজিএফ ও ভিজিডির তালিকা ইউপি সদস্য ও দলীয়ভাবে জমা হয়। ভুল করলে তারা করেছেন। আমাকে যে তালিকা দেয়া হয়েছে, সে অনুযায়ী চাল বিতরণ করা হয়েছে। দৃষ্টি ও বাকপ্রতিবন্ধী এবং বিধবা ভাতার টাকা কর্তনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি তাদের চিনিও না, জানিও না। একটি মহল আমাকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুরে-এ-জান্নাত রুমি অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, সংশ্লিষ্ট দফতরকে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদেন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে। তদন্তে অনিয়মের সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।